তাকে লুকিয়ে ভাসিয়ে দিলে চৌচঙ্গি নদীর জলে। তাই নিয়ে নদীর দুই ধারের লোকেরা খেসারতের দাবি ক’রে নালিশ করেছিল, লড়েছিল প্রিভিকৌন্সিল পর্য্যন্ত।
আমি হাঁপিয়ে উঠে বললুম, থামো, থামো, কিন্তু জিগেস করি, তুমি যে কাহিনীটা আওড়ালে তার বিশেষ গুণটা কী।
ওর গুণটা এই, এটা কুলের আঁঠির চাটনি নয়। যা কিছুই জানিনে তাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবার সখ মেটালে কোনো নালিশের কারণ থাকে। কিন্তু এতেও যে আছে উঁচুদরের হাসি তা আমি বলিনে। বিশ্বাস করবার অতীত যা তাকেও বিশ্বাস করবার যোগ্য করতে পারো যদি তাহোলেই অদ্ভুত রসের গল্প জমে। নেহাৎ বাজারে-চল্তি ছেলে-ভোলাবার শস্তা অত্যুক্তি যদি তুমি বানাতে থাকো তাহোলে তোমার অপযশ হবে এই আমি ব’লে রাখলুম।
আমি বললেম, আচ্ছা এমন ক’রে গল্প বলব, যাতে পুপুদিদির বিশ্বাস ভাঙতে ওঝা ডাকতে হবে।
ভালো কথা, কিন্তু লাটসাহেবের বাড়িতে যাওয়া বলতে কী বোঝায়।
বোঝায়, তুমি বিদায় নিলেই ছুটি পাই। একবার বসলে উঠতে চাও না, তাই “তুমি যাও” অনুরোধটা সামান্য একটু ঘুরিয়ে বলতে হোলো।
বুঝেছি, আচ্ছা তবে চললুম।
৫০