পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

어8 সোক্রেটস [ &भ डांश পারিবারিক জীবনের আরাম ও আনন্দ তাহার নিকটে তুচ্ছ ছিল। তা” ছাড়া, তিনিও গ্ৰীক জাতির এই বিশ্বাস অস্তরে পোষণ করিতেন, যে পরিবার ধৰ্ম্মসাধনার প্রধান লক্ষ্য নয় ; মানবের শ্রেষ্ঠ সাধনক্ষেত্র রাষ্ট্র। গ্ৰীক সাহিত্যে একটী সুপরিচিত কথা আছে, তাহা এই-“মানুষ স্বভাবতঃই রাষ্টধৰ্ম্মী জীব।” সেক্ৰাটীসও বলিতেন, কোন লোকই রাষ্ট্র ছাড়িয়া বঁচিয়া থাকিতে পারে না ; অপরকে শাসন করা, কিংবা অপরের দ্বারা শাসিত হওয়া, প্ৰত্যেককেই এই দুইয়ের একটা মানিয়া চলিতে হইবে। (Mem. II. 1. I2 )। “জীবনস্মৃতির” একস্থানে খামিডাস নামক শিষ্যের প্ৰতি তাহার এই উপদেশটী দেখিতে পাওয়া যায়-“জন্মভূমির প্রতি উদাসীন হইও না ; যদি কোনও দিকে উহার উন্নতি সাধন করা তোমার সাধ্যায়ত্ত হয়, তবে সে বিষয়ে যত্নবান হইও ; কাবণ, স্বদেশের কাজগুলি যদি ভাল চলে, তাহা হইলে শুধু যে দেশের অন্যান্য অধিবাসীরা উপকৃত शक्षेत्र, उांशशे नश् ; कित्रु তোমার নিজের ও তোমার বন্ধুবান্ধবদিগের লাভও কাহারও অপেক্ষা কম হইবে না।” ( III. 7 )। রাষ্টের প্রতি কৰ্ত্তব্যবােধ তাঁহার এমন উজ্জ্বল ছিল, যে তিনি একস্থানে নিয়মানুগত্য বা বিধির নিকট বশ্যতাস্বীকারকেই ন্যায় বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। রাষ্ট্রবিধিকে কি সন্ত্রমের চক্ষুতে নিরীক্ষণ করিতে হয়, “ক্রিটোন” নামক প্ৰবন্ধটিতে প্ৰাণস্পর্শী ভাষায় তাহা জাজ্জ্বল্যমান প্ৰকটিত রহিয়াছে, এবং তঁহার জীবন ও মৃত্যু যুগযুগান্তরের জন্য মানবজাতিকে তাহা শিক্ষা দিয়া গিয়াছে। কে না জানে, তিনি দেশের আইন লঙ্ঘন করিতে সম্মত হইলেই অক্লেশে কারাগার হইতে পলায়ন করিয়া প্ৰাণ রক্ষা করিতে পারিতেন ? পরম সুহৃৎ ক্রিটোন তাহাকে কারাগৃহ ত্যাগ করিতে কত অনুরোধ করিলেন, তিনি কিছুতেই সন্মত হইলেন না ; বন্ধুকে বুঝাইবার জন্য আইনকানুনের পক্ষ হইয়া বলিতে লাগিলেন, “তুমি কি এই কথাটাও বুঝিতে পারিতেছ না, যে তোমার জন্মভূমি দেবকুল ও মনস্বী মানবকুল সমক্ষে তোমার পিতা, মাতা ও অন্য সমস্ত পূৰ্ব্বপুরুষ অপেক্ষা পূজ্যতর, মহত্তর, পবিত্ৰতর ও অধিকতর শ্রদ্ধার পাত্র ? তোমার কর্তব্য এই, যে জন্মভূমি ক্রুদ্ধ হইলে তুমি তোমায় পিতা অপেক্ষাও তাহার অধিকতর