পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७छै अक्षाग्न ] সোক্ৰোটীসের কয়েকটি মত ԳՓ অৰ্চনা করিবে, নতি স্বীকার করিবে, স্তুতি করিবে, এবং তিনি যাহাই আদেশ করুন না কেন, হয় তাহা হইতে মাৰ্জনা ভিক্ষা করিবে, নতুবা তাহা পালন করিবে। তিনি যদি তোমার প্রতি কোনও দণ্ডের ব্যবস্থা কবেন—যদি তিনি তোমাকে প্ৰহার করেন বা কারাগারে নিঃক্ষেপ করেন, কিংবা আহত বা মৃত্যুমুখে পতিত হইবার জন্য যুদ্ধে নিয়োগ করেন-তুমি সে দণ্ড নীরবে গ্ৰহণ করিবো।” (Criton, XII..)। আমাদের শাস্ত্ৰেও আছে, “জননী জন্মভূমিশচ স্বৰ্গাদপি গরীয়সী”-কিন্তু গ্ৰীক জাতির, বিশেষতঃ সোক্রোটসের জীবনে এই আদর্শ যেমন প্ৰতিফলিত হইয়াছিল, ভারতবর্ষে সেরূপ হইলে ইহার ইতিহাস আরও আলোকময় হইত। আমরা পূর্বে বলিয়াছি, সোক্রেটস জনসমাজের সেবার উদ্দেশ্যেই শিক্ষাব্রত গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। তিনি বলিতেন, প্ৰত্যেকেরই আপনার শক্তি অনুসাবে দেশের সেবা করা কীৰ্ত্তব্য। তিনি নিজে শাসন-সংরক্ষণের ব্যাপার হইতে দূবে থাকিয়া শিক্ষাক্ষেত্ৰে কাৰ্য্য কবিতেন। জননায়কগণ যাহাতে নিজ নিজ কৰ্ত্তব্য নিষ্ঠা ও দক্ষতার সহিত সুসম্পন্ন কবেন, তিনি তাহাদিগকে সৰ্ব্বদা সেই দিকে দৃষ্টি রাখিতে বলিতেন। সেকালে আর্থনীয়েবা ভাবিত, ইচ্ছা করিলেই যে-কেহ রাষ্ট্রপরিচালনে নিপুণ হইতে পাবে, সে জন্য শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই। তিনি এ কথার ঘোরতর প্রতিবাদ কবিতেন । তিনি বলিতেন, যেমন অন্যান্য ব্যবসায়ে কৃতকাৰ্য্য হইতে হইলে পূৰ্ব্বে শিক্ষা চাই, তেমনি রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও শিক্ষা একান্ত আবশ্যক। মনোবৃত্তিব সমুচিত বিকাশ ও নিৰ্ম্মল জ্ঞান ভিন্ন কেহই রাষ্ট্রনীতিজ্ঞ হইতে পারে না। “প্রভূত ক্ষমতা থাকিলে, ”কুশপাত ( লটারী) করিয়া উচ্চপদ পাইলে, কিংবা জনসাধারণ দ্বারা রাজপুরুষরূপে নিৰ্বাচিত হইলেই একজন রাজ্যশাসনের যোগ্যতা লাভ করে না ; উহার জন্য চাই জ্ঞান।।” (Mem. III, 19, 10) । যেমন জ্ঞান ভিন্ন কোন ধৰ্ম্মই অক্ষুন্ন থাকে না, তেমনি জ্ঞান না থাকিলে রাষ্ট্রধৰ্ম্মও পালন করা অসম্ভব। সকলেই সমান, সকলেরই রাষ্ট্রপরিচালনে সমান অধিকার ; কিংবা যাহাদিগের আভিজাত্য বা ধন্যবল আছে, কেবল তাহারাই দেশের প্রভুত্ব করিবে-এসকল কথা তিনি মানিতেন না। তিনি বলিতেন,