পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኳ”8 সোক্রেটস [ &भ डांश বিধির বাধ্য ছিল। এই বাধ্যতা অজ্ঞানত হইতে প্ৰসুত হয় নাই ; তাহারা বিশ্বাস করিত, বিধি প্রজ্ঞানের সাক্ষাৎ মূৰ্ত্তি। এই জন্যই উহ। তাহাদিগের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রনৈতিক, সমগ্র জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করিত। তাহারা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়াই পরিপূর্ণ স্বাধীনতা আস্বাদন পাইত। ( ৪৬১ পৃষ্ঠা ) । বিধিবশ্যতার সহিত স্বাধীনতাপ্রিয়তার সামঞ্জস্য-সাধন গ্ৰীক জাতির একটী বিশিষ্ট কাৰ্য্য। তাহারা আত্মাকে সকল প্রকারে বন্ধনমুক্ত রাখিবার জন্য যত্ন করিত। গ্ৰীকেরা কখনও অভ্রান্ত শাস্ত্রের নিগড়ে আবদ্ধ হয় নাই ; তদুপরি সত্যানুসন্ধানে তাহাদিগের অপরিসীম উৎসাহ ছিল। তাহারা নিৰ্ভয়ে জগত্তত্ত্বের আলোচনা করিত; আণ্ডবাক্যের সহিত পদে পদে সঙ্গতি রক্ষা করিয়া তাহাদিগকে সত্য-বিচারে ব্যাপৃত হইতে হয় নাই। গ্রীসের আকাশ যেমন স্বচ্ছ ও নিৰ্ম্মল, এবং উহার নৈসৰ্গিক দৃশ্য যেমন সুস্পষ্ট ও সুপরিচ্ছিন্ন, গ্ৰীক জাতির প্রতিভাও সেইরূপ তীক্ষ, প্ৰাঞ্জল ও নিৰ্ম্মল ; উহাতে কাৰ্য্যকারী বুদ্ধি ও কল্পনাবৃত্তি, উভয়ই একে অন্যের সহায়রাপে মিলিত হইয়াছে। গ্ৰীক সভ্যতার প্রধান লক্ষণ সমন্বয় ; সমন্বয়-সাধনেব। আকাঙ্ক্ষাই গ্রীকদিগকে সৌন্দৰ্য্যের উপাসক করিয়া তুলিয়াছিল; তাহারা সৰ্ব্বত্র সুন্দরকে অন্বেষণ করিত, সাম্য ও সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠার জন্য যত্নবান থাকিত। ( ৪৯২, ৪৯৫, পৃষ্ঠা )। এই লক্ষণগুলির সাহায্যে গ্ৰীক সভ্যতার সহিত প্ৰাচীন ভারতীয় সভ্যতার তুলনা করিলে আমরা সহজেই উপলব্ধি করিতে পারিব, যে উভয়ের পার্থক্য কত গুরুতর ; সুতরাং গ্রীকগণ বা হিন্দুগণ স্বীয় জাতীয় প্ৰকৃতি বিস্মৃত হইয়া অপরের নিকট হইতে জগত্তত্ত্ব ও আত্মতত্ত্ব আলোচনা করিতে শিক্ষা করিয়াছে, ইহা কিছুতেই বিশ্বাস করিতে পারি না। এই দুই জাতি এক চক্ষুতে বিশ্বকে দর্শন করে নাই, এক লক্ষ্য লইয়া জগদ্ব্যাপারের পর্য্যালোচনায় প্ৰবৃত্ত হয় নাই ; তাহাদিগের চিন্তার ধারা এক দিকে, এক পথে প্রবাহিত হয় নাই। এই জন্যই গ্ৰীক দৰ্শন ও হিন্দুদর্শনে প্রকৃতিগত আত্যন্তিক বিভেদ বর্তমান। ৬/মহামহোপাধ্যায় চন্দ্ৰকান্ত TBBDD BDDYSASCLDDB BDBBBD DBDD DB S