পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অধ্যায় ] সোেক্রটীসের পূর্ববৰ্ত্তী দার্শনিকগণ S KON) গৃহীত হইয়া আসিতেছে। (১) পদার্থের লক্ষণ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির নিকটে ভিন্ন ভিন্ন। সুস্থ ব্যক্তির নিকটে মধু মিষ্ট, পাণ্ডুরোগীর পক্ষে তিক্ত। পদার্থের স্বরূপ বস্তুতঃ অজ্ঞেয়। যাহার নিকটে যে-বস্তু যে-প্ৰকার 'য়মান হয়, তাহার নিকটে তাহা সেই প্রকার ; তাহার পক্ষে উহাই । পাণ্ডুরোগীর পক্ষে মধুর তিক্ততাই সত্য। (২) পদার্থের ত্ব প্ৰত্যেক ব্যক্তির মতের উপরে নির্ভর করে । আমি যদি বলি, সুৰ্য্য "াশে নাই, তবে আমার পক্ষে সুৰ্য্য সত্তাহীন। ‘অর্থাৎ পদার্থের স্বতন্ত্র ত্ব নাই; আমরা ইন্দ্ৰিয়সাহায্যে যাহা উপলব্ধি করি, তাহাকেই র্য নাম দিয়া থাকি ; পদার্থেব সত্তা আমাদিগের অভ্যন্তরে, বাহিরে প্ৰকারান্তরে বলা যাইতে পারে, বিষয়েব অস্তিত্ব বিষয়ীর উপরে র করে । (৩) প্ৰত্যেক ব্যক্তির নিকটে যাহা সত্য বলিয়া প্ৰতীয়মান তাহার পক্ষে তাহাই সত্য। এই মতানুসারে যুক্তিপূর্ণ বিচার ও নুগত আচরণ অসম্ভব, এবং ধৰ্ম্ম, নীতি ও বাষ্ট্ৰীয় বিধি নিরর্থক ; উন্মাৰ্গগামিতার প্রস্রবণ। প্লেটো একস্থলে বাক্যটিকে এই অর্থেই Iা করিয়াছেন। অধ্যাপক গম্পার্টসের মতে এই তিনই কদৰ্থ। তিনি 1, উক্তিটীর প্রকৃত তাৎপৰ্য্য এই—“মানব কিনা মানবজাতি বা মানবত পদার্থসমূহের অস্তিত্বের মানদণ্ড । অৰ্থাৎ যাহা বাস্তব বা সত্য, রা। শুধু তাঁহারই জ্ঞান লাভ করিতে পারি ; অবাস্তব বা অসৎ দিগের জ্ঞানের বিষয়ীভূত নহে।” পদার্থের অবগতির জন্য মানুষ নার প্রকৃতি বা বৃত্তিব বাহিরে যাইতে পারে না ; যাহা জ্ঞাতব্য, তাহা কে আত্মপ্ৰকৃতির সাহায্যেই জ্ঞাত হইতে হইবে-কথাটী বোধ হয় মৰ্ম্মে উচ্চারিত হইয়াছিল। ঐতিহাসিক গ্রোটের ‘প্লেটো” নামক ক উহার বিস্তারিত আলোচনা আছে। আর একটী বাক্যের জন্য প্রোটাগরাস খুব নিন্দাভাজন হইয়াছিলেন। টী এই--“প্রত্যেক জিজ্ঞাসারই দুইটী উত্তর আছে ; উত্তর দুইটী রের বিপরীত।” একথা শুনিয়া অনেকে ভাবিয়াছিল, তিনি দিগকে কুতর্ক শিক্ষা দিয়া সত্যের প্রতি উদাসীন করিয়া তুলিতেছেন। অভিযোগ ভিত্তিহীন। চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্ৰেই স্বীকার করিবেন,