পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১৮৪

Sc. 8 সোত্ৰনাটস [ ১ম ভাগ সর্বোপরি গুরুর চরিত্রের স্বাধীনতা, ধৰ্ম্মানুগত্যে আটলতা, জীবনের সকল অবস্থায় অবিচলিত সন্তোষ, এবং অনুত্তর আত্মসংযম দ্বারাই সমধিক আকৃষ্ট ও মুগ্ধ হইয়াছিলেন। সোক্রেটস প্রধানতঃ নিমুক্ত সত্যানুসন্ধান দ্বারা এই সকল গুণ লাভ করিয়াছিলেন ; উহাই তাঁহাকে সঙ্কীর্ণ দৃষ্টি হইতে রক্ষা করিয়াছিল; কিন্তু আণ্টিস্থোনীস তাহা বুঝিতে পারেন নাই ; ইহাও র্তাহার বোধগম্য হয় নাই, যে, সোক্রেটাস যে-সামান্যের জ্ঞানের উপরে এত জোর দিতেন, তাহা শুধু তৎপ্ৰদৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মনীতিতেই আবদ্ধ থাকিতে পারে না। যে-সমুদায় জ্ঞান ধৰ্ম্মনীতির পরিপোষক নহে, তিনি এই জন্যই তাহা অহঙ্কার-ও-সুখপ্রিয়তা প্ৰসুত, অতএব অনাবশ্যক, এমন কি অনিষ্টজনক, এই বিশ্বাসে বর্জন করিয়াছিলেন। তিনি বলিতেন, ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মের ব্যাপার , তাহা কথা ও জ্ঞানের অপেক্ষা করে না । ইহার একটিমাত্ৰ বস্তুর প্রয়োজন আছে ; সে বস্তুটী সোক্রোটসের ন্যায় অজেয় ইচ্ছাশক্তি। এই কারণে তিনি ও তঁহার অনুবত্তিগণ ন্যায়শাস্ত্ৰ, প্ৰাকৃতিক বিজ্ঞান, ললিতকলা ইত্যাদি যে-সকল বিদ্যা সাক্ষাৎ সম্বন্ধে মানবের নৈতিক উন্নতি সাধনকেই লক্ষ্য বলিয়া গ্ৰহণ করে না, তাহা অকিঞ্চিৎকর বিবেচনা করিতেন । র্তাহারা যে জ্ঞানানুশীলনের প্রতি একেবারে উদাসীন ছিলেন, এরূপ বলা যায় না; কিন্তু ধৰ্ম্মনীতির পুষ্টির জন্য যতটুকু প্রয়োজনীয়, তাহারা ন্যায়শাস্ত্র ও বিজ্ঞানের ততটুকুরই আলোচনা করিতেন, তাহার অতিরিক্ত নহে। আন্টিস্থােনীস ন্যায়ুশাস্ত্রে একটা নূতন মত প্রচার করেন। সোফ্র্যাটাস বলিতেন, কোনও পদার্থ সম্বন্ধে কিছু বলিবার পূর্বে তাহার স্বরূপ ও সামান্য নির্ণয় করা আবশ্যক; আণ্টিস্থোনীসও তাঁহাই বলিতেন; কিন্তু তঁাহার মতে আমরা একটী পদার্থকে শুধু তাহার নাম দ্বারা উপলক্ষিত করিতে পারি, তাহার অধিক কিছুই বলিতে পারি না। যথা, আমরা কেবল বলিতে পারি, “মনুষ্য মানবীয়,” “ভাল ভাল ;” কিন্তু ‘মনুষ্য ভাল,” আমরা এরূপ বলিতে পারি না। এই মত সৰ্ব্বপ্রকার জ্ঞান ও সিদ্ধান্তের মূলে কুঠারাঘাত করিতেছে; কিন্তু এই কূটতর্কের আলোচনা আমাদিগের সাধ্য ও উদ্দেশ্যের नश्छूिठ ।