পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ অধ্যায় ] সোেক্রটস ও আরিষ্টফানীস \980 সোক্রো । মোটেই না ; ইহারা স্বর্গের মেঘমালা, অলস মনুষ্যের মহাদেবী ; ইহারাই আমাদিগকে বুদ্ধি, বিচারনৈপুণ্য, তৰ্কশক্তি, বাগাড়ম্বর প্রিয়তা, প্ৰগলভ্যতা, দুৰ্জয় বাক্যবল ও ক্ষি প্রমাতিত্ব প্ৰদান করেন । সোক্রেটাস আবার বলিতেছেন, “তুমি নিশ্চয় জানিও, যে এই দেবীগণই সফিষ্টদিগকে পালন করেন। গণক, হাতুড়ে বৈদ্য, দীর্ঘকেশ, মুক্তাঙ্গুরীয়ক বিলাসী, চক্রাকার-নৃত্যরত সঙ্গীতকারী, ভণ্ড জ্যোতিষী—যে-সকল অকৰ্ম্মণ্য মোক আর কিছুই করে। না, কেবল কবিতায় ইহাদিগেব গুণ কীৰ্ত্তন কবে, ইহারাই তাহাদিগেব ইষ্ট দেবতা। তৎপরে কিয়ৎক্ষণ মেঘ সম্বন্ধে আলোচনা চলিল। তদন্তে সোক্রো । একমাত্র ইহাবাই দেবতা ; আব্ব সকলে আসার জল্পনা । ষ্ট্রেপ। পৃথিবীব দিব্য, বল তো, স্বৰ্গবাসী জেয়ুস কি আমাদিগেব দেবতা নহেন ? সোক্রিণ। জেয়ুস কি প্রকাব ? মুখের মত কথা বলিও না ; জেয়ুস নামে কেহ নাই । ষ্ট্রেপ। কি বলিতেছ। তুমি ? তবে বারি বর্ষণ করে কে ? আগে আমাকে এই কথাটা স্পষ্ট করিয়া বল তো । সোক্রেটাস বৃষ্টিতত্ত্ব ব্যাখ্যা করিয়া শিষ্যকে বুঝাইয়া দিলেন, জেয়ুস বিশ্বের নিয়ন্ত ও প্ৰভু, এতকাল এই যে মত প্ৰচলিত ছিল, তাহা একটা বিষম ভ্ৰম ; বায়ুর ঘূর্ণবৰ্ত্তই জগদব্যাপাবের মূল কারণ। শিষ্য তখন বজপাতের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। গুরু একটা সাধারণ দৃষ্টান্তের সাহায্যে উহার যে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিলেন, তাহাতে পরিহাস্যরসিক কবি হাসির ফোয়ারা ছুটাইয়াছেন, কিন্তু আমরা বঙ্গীয় পাঠকগণকে তাহার রসাস্বাদনে বঞ্চিত রাখিতে বাধ্য হইলাম-কেন না, আমরা শ্লীলতার সীমা অতিক্রম করিতে পারিব না । সোফ্রি। তবে তুমি আমাদিগের সহিত মানিয়া লইতেছ যে, অনিয়ম, মেঘমালা এবং রসনা, এই তিন ভিন্ন অন্য কোনও দেবতা নাই ? 88