পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

796:b” সোক্রেটস [ »भ ङाशं সাক্ষ্যগ্ৰহণ করিতেন—তাহা পূর্বেই লিখিত থাকি ত-কিন্তু সাক্ষী দিগকে জেরা করিতেন না ; তঁাহারা ঘটনা ও আইন সম্বন্ধে সকল দিক বিবেচনা করিয়া অভিমত দিতেন, ও বিবাদীর অপরাধ প্ৰমাণিত হইলে দণ্ডবিধান করিতেন। মোকদ্দমার নিম্পত্তির জন্য বিচারকগণের ঐকমত্যের প্রয়োজন হইত না ;-কোনও পক্ষে একজন বিচারক অধিক থাকিলেই যথেষ্ট হইত-এবং তঁহাদিগেব বিচারের বিরুদ্ধে কোনও প্ৰতীকারের পস্থাও বিদ্যমান ছিল না । আমরা বৰ্ত্তমান সময়ে ইংরেজ-শাসিত ভারতবর্ষে যে-বিচার-প্ৰণালী দেখিয়া আসিতেছি, তাহার সহিত তুলনা করিলে আখীনীয় বিচার-প্ৰণালীর দোষ ত্রুটি বুঝিতে কাহারও কালবিলম্ব হইবে না। আথেন্সে যাহাদিগের হস্তে বিচারভার ন্যস্ত ছিল, তাহারা কেহই উহাব জন্য বিশেষভাবে শিক্ষা লাভ করেন নাই। আজ যাহারা বিচারক, কাল তাহারা সাধারণ পুরবাসী। যাহারা আইনেব ব্যবসায় করিতেন, তাহারাও আইনে পারদর্শী ছিলেন না । বাদী বিবাদী নিজেরাই আপনি আপন পক্ষ সমর্থনা করিত, কখন কখনও অন্যের দ্বারা লিখাইয়া আনিয়া বক্তৃতা পড়িত ৷ ধৰ্ম্মাধিকরণের প্রধান কাৰ্য্য অভিযোগের সত্যসত্য নিরূপণ ; কিন্তু চারি পােচ শত বিচারকের পক্ষে সূক্ষ্মীরূপে সমুদায় ঘটনা বিশ্লেষ করিয়া সত্য নির্ণয় করা অসম্ভব । যাহারা আদালতে বক্তৃতা করিত, তাহারা অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষ বা দোষাভাব প্ৰমাণ করিবার চেষ্টা করিত না; তাহারা বিচারকগণের হৃদয় সম্পর্শ করিয়া জয়লাভ করিতে চাহিত । বক্তা বিষধের পর বিষয়ের অবতারণা করিতেন, যতক্ষণ ইচ্ছা বলিয়া যাইতেন, আইনে তাহ নিষিদ্ধ ছিল না। সুতরাং বাদী বিবাদী কাজের কথা ছাড়িয়া বিচারকগণের ক্রোধ ও অনুকম্প উদ্রেক করিবার প্রচুর সুযোগ পাইত। কেহ কিছু বলিলে যদি খুব ভাল লাগিত, কিংবা বড়ই মন্দ বোধ হইত, তবে বিচারকেরা আহিলাদে বা বিরক্তিবশতঃ চীৎকার করিয়া বিচার কাৰ্য্যের ব্যাঘাত উৎপাদন করিতেও ত্রুটি করিতেন না। বিবাদী অনেক সময়ে আদালতে তাহার স্ত্রীপুত্ৰ লইয়া আসিত, এবং আশা করিত, যে “ যদি