পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ অধ্যায়। ] বিচার ও মৃত্যু NLyy না । সোফ্রাটসেব ঘুগে তাহারা কি সত্য সত্যই প্রাচীন নীতি ও ধৰ্ম্মে আস্থাবান ছিল ? ইহার উত্তরে আমরা স্পষ্টাক্ষরে বলিব, “না”। তিনি যদি মারাথোন-বারগণের সমকালে আবির্ভূত হইতেন, তবে হয় তো তাহার দণ্ড ন্যায্য হইত ; কিন্তু পারসীক আক্রমণের যুগ ও গ্রীসের কুরুক্ষেত্রের যুগ, এই উভয়ের মধ্যে আথানীয়দিগেব নৈতিক ও ধৰ্ম্মজীবনে বিস্তর প্ৰভেদ ঘাঁটিয়াছিল। আরিষ্টফানসেব নাটক ও থোকুডিডাসের ইতিহাস পাঠ করুন, দেখিবেন, কোথায় “ন্যায়বান” আরিষ্টাইডস প্রভৃতি অকৃত্ৰিম স্বদেশসেবকগণের জীবন, আর কোথায় সফিষ্টশিষ্য, ক্ষমতাপ্রিয়, অর্থলোলুপ, স্বার্থপর, তথাকথিত জননায়কের জীবন। আমরা প্রথম খণ্ডের পঞ্চম অধ্যায় হইতে কিঞ্চিৎ উদ্ধত করিয়া বিষয়টা পরিস্ফুট কবিতেছি। পঞ্চম শতাব্দীর “প্ৰথম যামে আথেন্সেব ধনবল ও প্ৰতিপত্তি বৃদ্ধিব সঙ্গে সঙ্গে আর্থীনীয়দিগের মতিগতি পরিবস্থিত হইতে আবিস্ত করে, সুতরাং তাহাদিগের শিক্ষা-পদ্ধতির মৰ্ম্মস্থানেও ধীবে ধীরে বিকারের লক্ষণ প্ৰকাশ পাইতে থাকে। এই সময়ে সফিষ্ট নামক একশ্রেণীর লোক নানা দেশ হইতে আথেন্সে আসিয়া যুবকগণের শিক্ষাদানে প্ৰবৃত্ত হন ; তঁহাদিগের উপদেশেব ফলে এই বিকার দুশ্চিকিৎস্য হইয়া উঠে। এতদিন আখীনীয়দিগের জীবন বা ষ্টপ্রধান ছিল, সুখসৌভাগ্যোিব মুখ দেখিয়া তাহারা ব্যক্তিত্বসৰ্ব্বস্ব হইয়া উঠিতে লাগিল। কিসে রাষ্ট্রের মঙ্গল হইবে, সে ভাবনা অপেক্ষা, কি কবিয়া নিজের ধনমান যশোলাভ হইবে, সেই দুশ্চেষ্টাই তাহাদিগকে গ্ৰাস কবিয়া ফেলিল। অতএব রাষ্ট্রসেবাই যে{ শিক্ষাপ্রণালীর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, তাঙ্গা রূপান্তবিত হইয়া শিক্ষার্থকে ! কিয়ৎপরিমাণে রাষ্ট্রবিমুখ করিয়া দিল।।” (৫৯-৬০ পৃষ্ঠা)। একথা যদি সত্য হয়, তবে যে আনুন্টস ও মেলীটস “নীতি গেল, ধৰ্ম্ম গোল” বলিয়া এত চীৎকাব কবিয়াছিলেন, তাহার। সার্থকতা কোথায় ? তাহারা যাহাকে রক্ষা করিবাব অভিপ্ৰায়ে সেক্রিটিসকে প্ৰাণে বধ করিতে বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন, তাহা তো তাহার আবির্ভাবেবী সঙ্গে সঙ্গেই কালগর্ভে লীন হইয়া গিয়াছিল । তিনি যে-ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা শিক্ষা দিতেন, তদপেক্ষা অনেক অধিক মারাত্মক আত্মসর্বস্বতা