পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»२* अक्षाष्ट्र ] বিচার ও মৃত্যু \SYS) ঐরাবত। যেমন মন্দাকিনীর দুর্জয় স্রোতঃ অবরুদ্ধ করিতে উদ্যত হইয়া নিজেই তৃণখণ্ডের ষ্ঠায় ভাসিয়া গিয়াছিল, অদুরদর্শী মানুষও তেমনি পরিবর্তন-স্রোতে বাধা দিতে যাইয়া আপনারাই পরাস্ত হয় ; কিন্তু মুখের স্বভাবই এই, যে তাচারা দেখিয়াও দেখে না, শিখিয়া ও শিখে না | আজিও মানবসমাজেব স্কুলবুদ্ধি ঐরাবতের সাগর-সঙ্গম হইতে সুরধুনীর বারিরাশিকে হিমালয়েব অভ্ৰভেদা তুঙ্গ শৃঙ্গে লইয়া যাইবার জন্য দিবারাত্রি প্ৰাণপণে পরিশ্রম করিতেছে। সেক্রেটাস বুঝিয়াছিলেন, আথানীয় রাষ্ট্রনীতি ও ধন্মের যে-দুৰ্গতি ঘটিয়াছে, তাহা নির্যাকরণেব উদ্দেশ্যে অতীতের জন্য হাহাকার না করিয়া জ্ঞানেব আলোকে তাহার সংস্কাব সাধন কবই কৰ্ত্তব্য। সংস্কাবের নাম শুনিয়াই আথানীয়েব ক্ষেপিয়া উঠিল ; তাহাব! ভাবিল, এই দুৰ্গতির জন্য সেক্রেটাসই অপরাধা । তাহারা নিকেবাধের ন্যায় আত্মবঞ্চনা করিয়া মনকে প্ৰবোধ দিল, যে তাহারা যেন গৌরবোজাগণ মারাথোন-যুগে বাস করিতেছে। সুতৰাং সোফ্রাটসের দণ্ড শুধু বৰ্ত্তমানকালের মাপকাঠী অনুসাবে অন্যায় হইয়াছিল, তাহা নহে ; তাহাব সমসাময়িক আদর্শ দ্বারা বিচাবি করিয়া ও উহাকে অবৈধ বলিতে হইবে । আমরা চিন্তা ও বাক্যে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি অনুরক্ত ; আমব তো বলিবই, সোক্রোটসের হত্যা একটা ঘোরতর অপকৰ্ম্ম ; আথানীয়েরাই কি বুকে হাত দিয়া বলিতে পারিত, তাহাবা যে-দোষে তাহাকে বধ করিল, তাহারা তাহা হইতে মুক্ত ছিল ? জগতের ইতিহাসে এমন কতবার হইয়াছে।--লোকে অরক্ষণীয় মরণোন্মুখ প্ৰাচীন তন্ত্র চিরস্তির করিয়া বাখিবার জন্য অন্ধ ক্রোধের বশীভূত হইয়া সংস্কারক দিগকে বধ করে, কিন্তু তাহাতে প্রাচীন তন্ত্রের নিৰ্জ্জীবিত ও অসারতা আরও পরিস্ফুট হইয়াই উঠে। সোক্রেটস নিশ্চয়ই গ্ৰীক জাতির পুরাতন জ্ঞান ও বিশ্বাসের সীমা অতিক্রম করিয়াছিলেন ; কিন্তু গ্রীসে জাতীয় জীবনকে প্রাচীন গণ্ডীতে আবদ্ধ করিয়া রাখিবার কাল উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছিল ; তিনি তাহার পরে সংস্কারের কাৰ্য আরম্ভ করিয়াছিলেন, পূৰ্ব্বে নহে। গ্ৰীক দিগের মনে যে বিপ্লবের বন্যা প্ৰবাহিত হইতেছিল, তাহার জন্য ব্যক্তিবিশেষ দোষী নহে ; বলিতে গেলে তাহা নিয়তির দোষ, কিংবা কালধৰ্ম্মের দোষ। আর্থনীয়েরা সোেক্রটীসকে