পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

文之 সোক্রেটস [ ১ম ভাগ পায়। তিনি কখনও কাহারও নিকটে বেতন চাহিতেন না ; কেহ ঃপ্ৰণোদিত হইয়া দিতে চাকিলেও তাহা গ্ৰহণ কবিতেন না ; তখনকার শিক্ষাব্যবসায়ী সফিষ্টদিগের সহিত তাহাব এই এক গুরুতব পার্থক্য ছিল। বাজনীতিজ্ঞ, সৈনিক, শিল্পী, শ্রমজীবী, "শিক্ষক-ব্যবসায়-ও- সম্প্রদায়-নির্বিশেষে তিনি সকলের সহিত সকল বিষয়েই আলোচনা করিতেন। জ্ঞানালোচনায় তাহার দেশকলপাত্রেব বিচাব ছিল না, এবং তাহাতে তাপহার কদাপি অরুচি হইত না। এজন্য লঘুচিত্ত লোকেরা তাহাকে কত বিদ্রুপ করিত। তিনি যে জ্ঞানচর্চার জন্য দারিদ্র্যাকে বরণ করিয়াছিলেন, এবং জ্ঞানদান কবিয়া তদ্বিনিময়ে কিছুই গ্ৰহণ করিতেন না, ইহাতে তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী সফিষ্টেব্য অবজ্ঞা কবিয়া তাহাকে মুখের উপরেই শুনাইয়া দিত, যে তাহার বুদ্ধিবিবেচনা কিছুই নাই। অপরের কথায় কাজ কি, আমব ব্যঙ্গ-নাট্যকার আবিষ্টফানীস “মেঘমালা” নামক নাটকে তঁহাকে কি কদৰ্য্য ভাষায় পবিহাসে করিয়াছেন, একাদশ অধ্যায়ে আমরা তাহা দেখিতে পাইব । তাহাব এই অহেতুক জ্ঞানবিতরণের পুবস্কাৰ যে সব সময়ে শুধু গালাগালি বা হাস্যপরিহাসেই নিবন্ধ থাকিত, তাহাও নয়। এরূপও কথিত আছে, যে তিনি প্রশ্নের উপরে প্রশ্ন করিয়া সকলকে এমনই জ্বালাতন করিয়া তুলিতেন, যে এজন্য এক একদিন উদ্ধত, দুর্বিনীত লোকেরা তাহাকে সমূহ লাঞ্ছনা, এমন কি প্ৰহার্য পৰ্য্যন্ত কবিতা। কিন্তু লোকগঞ্জনা বা বিদ্রুপ বা অত্যাচারেব তয়ে সোক্রেটস এক মুহূৰ্ত্তেব তরেও জীবনদেবতাব নিয়োগ অবহেলা করেন নাই। গুণগ্ৰাহী পুটার্ক যে কথা বলিয়া তাহার জ্ঞানপ্রিয়তার প্ৰশংসা করিয়াছেন, আপনারা তাহা অবধান করুন। প্লাটার্ক বলিতেছেন, “সোফ্রাচীস জ্ঞানচর্চায় দেশ কালের অপেক্ষা করিতেন না ; তিনি যে শুধু আসনে উপবেশন না করিয়া, এবং শিষ্যগণের গঠিত পৰ্যটন ও সৎ প্রসঙ্গের জন্য নির্দিষ্ট সময় না। রাখিয়াও তত্ত্বালোচনা করিতে পারিতেন, তাহা নহে; কিন্তু ক্রীড়া, পানাহাব, যুদ্ধ, ক্রয়বিক্ৰয়, এমন কি কারাবাস ও বিষপান-সকল অবস্থাই তেঁাহার জ্ঞানানুশীলনের পক্ষে প্ৰশান্ত ছিল ; তিনি প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন, যে মানুষের জীবন সৰ্ব্ব