পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় অধ্যায়। ] জীবন-ব্ৰত २१ উহা সকল ক্ষেত্রেই তাহার সহায়তা করিত। কোন কৰ্ম্ম হয় তো বিবেকবিরুদ্ধ ; কোন কৰ্ম্মের ফল হয় তো নিমেষে মনশ্চক্ষুতে অশুভ বলিয়া দেদীপ্যমান হইয়া উঠিয়াছে; কোনও কৰ্ম্মে হয় তো স্বতঃই অরুচি হইতেছে। এ সমুদায় স্থলেই এই ঔচিত্যবোধ তাহার পরিচালক। এই অর্থেই জৰ্ম্মণ পণ্ডিত হাৰ্ম্মাণ ( Hermanm ) সোক্রেটসের উপদেবতাকে “ব্যক্তিগত সুবিবেচনার orgsgata' ( the inner voice of individual tact) বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন। কোন কোনও ইংরেজ লেখকের মতও 2 এইরূপ। তাহারা শ্লায়ারম্যাকারের (Schleirmacher) পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া বলেন, যে কোনও স্থলে কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্যের সমস্যা উপস্থিত হইলেই সোক্রেটীস বিদ্যুৎচমকের মত এমন ত্বরিতগতিতে তাহার মীমাংসা করিতে পারিতেন, যে এই মীমাংসা র হেতু খুজিয়া না পাইয়া তিনি ভাবিতেন, দৈববাণীই তাঁহাকে সমস্যাটীর সমাধান করিয়া দিয়াছে। বিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যাপক গমপার্টস ( Gomperz. ) (fē কথাটাই অন্য রকম করিয়া বলিয়াছেন। তিনি বলেন, যে মানুষের আত্মা দুই প্রকারে ক্রিয়া করে ; একটা তাহার জ্ঞানগোচর ; আর একটা জ্ঞানের অগোচর। সেক্রেটীসের আত্মাও তাঁহার জ্ঞানের অন্তরালে থাকিয়া তঁহাকে কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য বলিয়া দিত। র্তাহার দৈববাণী বিবেকবাণীও নয়, ঈশ্বরের সহিত নিত্যযোগের ফলও নয়, উহা একজাতীয় সহজ সংস্কার ( instinct)। এই পল্লবিত আলোচনার মূলে একটী বিষয় লক্ষ্য করিবার আছে। আমাদিগের বোধ হয়, ঈশার শিষ্য ভিন্ন অপর কেহ। মহাজ্ঞানী হইলেও সাক্ষাৎভাবে ঈশ্বরের বাণী শুনিতে পায় না, এই বিশ্বাস পোষণ করিয়াই পাশ্চাত্য লেখকেরা এত গোলে পড়িয়াছেন। ভারতীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্রে দৈববাণী শ্রবণের কাহিনী এত ভুরি ভূরি রহিয়াছে, যে আমাদিগের পক্ষে একথাটা বুঝিতে ও স্বীকার করিতে কোনই বাধা নাই, যে সোক্রেটীস যে বাণীর নিকটে আত্মসমৰ্পণ করিয়াছিলেন, তাহা ঈশ্বরেরই বাণী । ད།