পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অধ্যায় ] শিক্ষাক্ষেত্রে সোক্রোটসের সংস্কার 8S কোনও প্রকারে সরিয়া পড়িতে পারিলে হাফ ছাড়িয়া বঁাচেন ; কিন্তু সোকুটীস। তঁহাকে কিছুতেই ছাড়িবেন না; তিনি আবার তাঁহাকে মিনতি করিয়া বলিলেন, “হে পুরুষোত্তম, বল, তুমি কি পুণ্য বলিয়া বিবেচনা করি ; আমার নিকটে উহা গোপন করিও না।” এয়ুথুফ্রোেণ আর কি করেন, মহা বিপদ গণিয়া, “সে কথা। তবে আর একদিন হইবে, আমি এখন ব্যস্ত”, এই বলিয়াই দ্রুতবেগে পলায়ন করিলেন। অন্তর যতক্ষণ আত্মম্ভরিতায় পূর্ণ থাকে, ততক্ষণ কেহই জ্ঞানলাভের অধিকারী হইতে পারে না। “আমি সবই জানি,” এই সংস্কার চূৰ্ণ করিয়া, “আমি কিছুই জানি না,” এই বোধ উদ্দীপ্ত করিতে না পারিলে মন জ্ঞানাহরণের উপযোগিতাই প্ৰাপ্ত হয় না । যে আপনার অজ্ঞতা লইয়া বেশ আত্মতৃপ্ত রহিয়াছে, আগে তাহার ভুল ভাঙ্গিতে হইবে, জাহাকে জাগরিত করিতে হইবে। যে আত্মা অজ্ঞানতায় সুষুপ্ত, তাহাকে বেদনা দিয়া সচেতন করা প্ৰয়োজন। গুরু। যদি শৈশবকাল হইতে শিষ্যের শিক্ষার ভার গ্ৰহণ করেন, তবে সেখানে বেদনা প্ৰদানের প্রয়োজন তত অধিক না হইতে পারে, কেন না, শিষ্যের মনটী একেবারে সাদা পাইলে গুরু তাহাতে যাহা ইচ্ছা অঙ্কিত করিতে পারেন ; মনটী যতদিন মৃৎপিণ্ডের মত কোমল ও নমনীয় থাকে, ততদিন তাহাকে ইচ্ছানুরূপ আকার দিয়া গঠন করা যাইতে পারে। কিন্তু যেখানে এই সুযোগ ঘটে নাই, সেখানে ধ্বংস-কাৰ্য্যটা পরিপূর্ণরূপে সংসাধিত হইলে তবে সংগঠনের কাজ আরম্ভ করা সম্ভবপর। একটী অট্টালিকা যখন কালবশে ভগ্ন ও জীর্ণ হইয়া পতনোন্মুখ হয়, তখন তাহাকে জোড়াতাড়ি দিয়া বাসোপযোগী করিবার চেষ্টা বিড়ম্বনামাত্র ; গৃহস্বামী বুদ্ধিমান হইলে তাহাকে একেবারে ভূমিসাৎ করিয়া তাহার স্থানে নূতন হৰ্ম্ম্য নিৰ্ম্মাণ করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া সোেক্রটীসকে সৰ্ব্বাগ্রে এই ধ্বংসের কাৰ্য্যেই সমগ্ৰ শক্তি নিয়োগ করিতে হইয়াছিল। তিনি যাহাদিগের সহিত মিশিতেন, তাহাদিগের মধ্যে যুবক, প্রৌঢ়, বৃদ্ধ, সকল বয়সের লোকই থাকিত। ইহাদিগের অধিকাংশেরই আত্মম্ভরিতা অত্যন্ত প্ৰবল ছিল। তিনি শিক্ষাদানে ব্ৰতী হইয়াই দেখিতে পাইলেন, যে “যাহাদিগের জ্ঞানের খ্যাতি সৰ্ব্বাপেক্ষা V