পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R সোক্রেটস [ Sभ डांश অধিক, জ্ঞানের অভাবও তাহাদিগেরই প্ৰায় পরিপূর্ণ।” (Apology, 7)। এরূপ স্থলে চৈতন্য সম্পাদন না করিলে, অর্থাৎ আত্মবোধ উজ্জল না হইলে, শুধু উপদেশ দিয়া কোনও ফল নাই। এজন্য সোক্রেটীস জ্ঞানজর্জনের অভাবাত্মক দিকটাতেই খুব জোর দিয়াছিলেন। তিনি যে প্রতিনিয়ত লোককে পরীক্ষা করিয়া বেড়াইতেন, তাহার অন্যতম উদ্দেশ্যই ছিল তাহাদিগকে জানাইয়া দেওয়া, যে তাহারা জ্ঞানে কত দরিদ্র । তিনি জানিতেন, যে এই দারিদ্র্য-বোধ জন্মিলে, এবং জ্ঞানের জন্য বুভুক্ষী উদ্রিাক্ত হইলে, জ্ঞানার্থীর জ্ঞানার্জন-পথে যাত্রার আর বিলম্ব নাই। জগতের মহাজনগণ যুগে যুগে এই উপদেশ দিয়া গিয়াছেন, যে আত্মপরীক্ষা ভিন্ন জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের উন্নতি অসম্ভব ; সোক্রেটীসও তাঁহাই বলিতেন; কিন্তু তিনি শুধু তাহা বলিয়া ক্ষান্ত হন নাই; তিনি আরও একটু অগ্রসর হইয়া আত্ম-পৰীক্ষা ও পব-পরীক্ষাকে একসূত্রে গ্রথিত করিয়াছেন। তিনি বিচারালয়ে অতি দৃঢ়তাসহকাবে বলিয়াছিলেন, “প্ৰতিদিন ধৰ্ম্ম ও অন্যান্য বিষয়ে কথাবাৰ্ত্ত বলা, এবং আপনাকে ও অপরকে পরীক্ষা করাই মানবের পক্ষে মহত্তম সৌভাগ্য। যে জীবনে পরীক্ষা নাই, তাহা ধারণযোগ্যই নয়।” (Apology, 20) । আপনাকে ও অপব্যকে পরীক্ষা করাই তিনি জীবনেব। ব্ৰত বলিয়া গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । তিনি চিরকালই জ্ঞানান্বেষী ছিলেন, জ্ঞানাভিমান কদাপি তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে নাই । তিনি যাহাদিগের সহিত তত্ত্বালোচনায় প্ৰবৃত্ত হইতেন, তাহাদিগকেই বলিতেন, “এস, আমরা বিষয়ট পরীক্ষা করিয়া দেখি ; তাহার ফলে আমি কিছু শিখিব, তোমরাও কিছু শিখিবো। আমি কাহারও গুরু বা উপদেষ্ট নই, আমিও তোমাদিগেরই ন্যায় শিক্ষার্থী।” যে দুইটী গুণ থাকিলে জ্ঞানার্থী জ্ঞানের সাধনে সিদ্ধিলাভ করিতে পারে, তাহাতে সেই গুণ দুটীর অপূৰ্ব্ব সমন্বয় সাধিত হইয়াছিল। প্রথমতঃ, সত্যানুসন্ধানে তঁহার ধৈৰ্য্য অটল ও অপরাজেয় ছিল ; দ্বিতীয়তঃ, তাহার হৃদয়টা একেবারে সংস্কারবর্জিত হইয়া গিয়াছিল। সকলই বিচার করিতে হইবে, বিনা বিচারে কিছুই গ্ৰহণ করা হইবে না ; একটা বিষয় সৰ্ব্ববাদিসন্মত হইলেও তাহ মাজিয়া ঘসিয়া