পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৭২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ved o সোক্রেটস [ ৩য় ভাগ সংগৃহীত হইতে পারে, যে তাহ পাইয়াই সন্তুষ্ট থাকে, সেই ? ওহে আন্টিফোন, তুমি যেন এইরূপ ভাব বলিয়া বোধ হয়, যে বিলাসে ও ব্যয়বাহুল্যেই সুখ নিহিত রহিয়াছে; কিন্তু আমি মনে করি, যে মানুষের যখন কোন বস্তুরই প্ৰয়োজন থাকে না, তখনই সে দেবতুল্য হয় ; যাহার অভাব অত্যািল্ল, সে দেবতার নিকটতম। দেবপ্ৰকৃতি পূর্ণ, যে দেবপ্ৰকৃতির নিকটতম, সে পূর্ণতার নিকটতম।” আর একদিন আন্টিফোন সোক্রেটসের সহিত আলাপ করিতে করিতে কহিলেন, “সেক্রেটস, আমি তোমাকে ন্যায়পরায়ণ বলিয়া বিশ্বাস করি, কিন্তু জ্ঞানী বলিয়া মোটেই বিশ্বাস করি না । আমার তো বোধ হয়, যে তুমি নিজেও তাহা জানি ; কেন না, তোমার সাহচর্য্যের জন্য তুমি কাহারও নিকট হইতে অর্থ গ্ৰহণ কর না। অথচ তুমি যদি তোমার বস্তু বা বাসবাটী কিংবা অপর কোনও সম্পত্তি মূল্যবান জ্ঞান করিতে, তবে তাহা অপরকে বিনা মূল্যে তো দিতেই না, বরং তাচার উচিত মূল্য হইতে এক কপৰ্দকও কম গ্ৰহণ করিতে না । স্পষ্টই দেখা যাইতেছে, যে তুমি যদি মনে করিতে, যে তোমার সাহচর্য্যের কোনও মূল্য আছে, তবে তুমি ইহার উচিত মূল্য অপেক্ষা কম অর্থ চাহিতে না। অতএব, তুমি ন্যায়পরায়ণ হইতে পার, যেহেতু, তুমি অর্থ-লোভে কাহাকেও প্ৰবঞ্চনা কর না ; কিন্তু তুমি জ্ঞানী হইতেই পার না, কেন না, (তুমি নিজেই স্বীকার করিতেছ, যে ) তুমি যাহা জানি, তাহার কোনই মূল্য নাই।” সোক্রেটস। ইহার উত্তরে বলিলেন, “আমাদিগের মধ্যে এই একটা মত প্ৰচলিত আছে, যে দৈহিক সৌন্দৰ্য্য ও জ্ঞান, উভয়ই, যেমন মহদ্ভাবে, তেমনি হীনভাবে ব্যবহৃত হইতে পারে ; কারণ, যদি কেহ অর্থ পাইয়া, যে চাহে, তাহাকেই দৈহিক সৌন্দৰ্য্য বিক্রয় করে, তবে লোকে তাহাকে পুংশচল কহে ; কিন্তু যদি কেহ এক ব্যক্তিকে সুন্দর ও সচ্চরিত্র ও প্রেমিক বলিয়া জানিয়া তাহার সহিত সখ্য স্থাপন করে, তবে সে বুদ্ধিমান বলিয়া পরিগণিত হয়। সেইরূপ, যাহারা অর্থ-বিনিময়ে, যে-কেহ চাহে, তাহাকেই জ্ঞান বিক্রয় করে, লোকে তাহাদিগকে সফিষ্ট অর্থাৎ একজাতীয় পুংশ্চল কহে ; কিন্তু যদি কেহ, যাহাকে সে উপযুক্ত জ্ঞান করে, তাহাকে, সে