পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অধ্যায় ] শিক্ষাক্ষেত্রে সোক্রোটসের সংস্কার 8V নিকাষ পাথরে পরখ করিয়া। তবে মানিয়া লইব ; প্রতিপক্ষের যুক্তি যত দুর্বলই হউক না কেন, তাহাও ধীরচিত্তে শুনিতে হইবে ; এমন কি, যে মতগুলি শুনিয়াই লোকে শিহরিয়া উঠে, সেগুলিও পক্ষপাতশূন্য হইয়া বিচার করিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য-ইহাই ।” তাহার মনের ভাব ছিল। যে প্রশ্নগুলি মানবের মহত্তম মঙ্গলের সহিত সংশ্লিষ্ট, তাহার আলোচনায় অপরিসীম উৎসাহ ; আবার সঙ্গে সঙ্গে অন্তরের অনাবিল সরলতা, অক্ষুন্ন স্থৈৰ্য্য ও সুগভীর প্রসন্নতা ;—তিনি যেমন যুগপৎ এই পরস্পরবিরোধী গুণগুলির আধার ছিলেন, এমন অতি অল্পই দেখা fict জ্ঞানান্বেষণে লিপ্ত হইয়া সোক্রেটীস দার্শনিক আলোচনায় দুইটী নূতন পদ্ধতি প্ৰবৰ্ত্তিত করেন। প্রথমটী প্রশ্নোত্তর-মূলক তর্কপ্রণালী (Dialectical method) ; দ্বিতীয়টি ব্যাপ্তিগ্রহ, অর্থাৎ পরীক্ষাধীন বিষয়টার বহুল দৃষ্টান্ত আলোচনা করিয়া একটী সামান্য নির্ণয় করণ (Inductive discourses) Cai (<3 ভ্ৰান্তি দূর করিবার পক্ষে প্রথমোক্ত প্ৰণালীটী তাহার হস্তে ব্ৰহ্মান্ত্রের কাজ করিয়াছিল। ( ১ ) প্রশ্নোত্তর-মূলক তর্কপ্রণালী। প্রশ্নোত্তর-মূলক তর্ক প্রণালীটী বোধ হয় সোত্ৰাটীসের নিজের আবিষ্কার নয় ; কেহ কেহ বলেন, তিনি ইহা তঁহার অন্যতম গুরু জীনোনের নিকটে শিক্ষা করিয়াছিলেন। একথা সত্য হইলেও ইহাতে র্তাহার মৌলিকতা খৰ্ব্ব হইতেছে না, কেন না, তিনি এই প্ৰণালীটির অসাধারণ উন্নতি সাধন করেন, এবং তিনি ইহার সাহায্যে যে ফল লাভ করিয়াছিলেন, আজ পৰ্যন্ত পশ্চিম জগতে তাহার তুলনা মিলে নাই। উহাতে র্তাহার প্রগাঢ় আস্থা ছিল। প্লেটো-বিরচিত “ফাইডস” (Phaedros) নামক সংলাপ-নিবন্ধে তিনি বলিতেছেন, “আমি তো সংশ্লেষ ও বিশ্লেষ প্ৰণালীটী খুব ভালবাসি, কেন না, উহা বলিবার ও ভাবিবার বড়ই অনুকূল। যদি আমি এমত কাহাকেও পাই, যে বিশ্বে এক এবং বহুকে দেখিতে সুক্ষম, তবে আমি তাহার অনুগামী হই, এবং ‘দেবতার মত