পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৭৫১

২য় অধ্যায় ] আত্মোৎকর্ষ-সাধন ԳՀ » উপস্থিত কৰ্ত্তব্য সুসম্পন্ন কবিয়া প্রতি প্ৰাপ্ত হয় ; তাহারা আমাব কৃপায় দেবগণের প্রিয়, বন্ধুজনেব হৃদয়বল্লভ, জন্মভূমির দ্বারা সম্পূজিত। যখন তাহাদিগের নিয়তিবিহিত অন্তিমকাল উপস্থিত হয়, তখন তাহারা গৌরববঞ্চিত হইয়া বিস্মৃতিতে নিমজ্জিত রহে না ; প্রত্যুত তাহার কবিগণের স্তুতিগীতিতে কীৰ্ত্তিত হইয়া চিরকাল মানবের স্মৃতিপথে অপরিমানরূপে বৰ্ত্তমান থাকে। হে সৎপিতামাতার সন্তান হীরাকীস, তুমিও এই পথে'ব। অনুসরণ কবিলে অনিন্দ্যতম সুখের অধিকারী হইবে।” “ধৰ্ম্মদেবী হীরাকীসকে যে-উপদেশ দিয়াছিলেন, প্ৰডিকাস তাহ প্ৰায় এই ৰূপই বিবৃত করিয়াছেন , তবে আমি এক্ষণে যে-ভাষায় উহা বৰ্ণনা করিলাম, তিনি তদপেক্ষা গম্ভীবন্তর বাক্যচ্ছটিায় ভাবগুলি অলঙ্কত কবিযাছেন। অতএব, আবিষ্টপ্লস, তোমাব কৰ্ত্তব্য এই, যে তুমি উক্ত অনুশাস্ত্রগুলি অনুধাবন কবিয়া তোমাব ভবিষ্যৎ জীবনের কাৰ্য্যাকাৰ্য্য সম্বন্ধে চিন্তা কবিবে। ” দ্বিতীয প্রকরণ আত্মসংযম এযুথুভীমসেব সহিত কথোপকথন (Book IV. Chapter 5) সোক্রেটীস কিরূপে তেঁাহাব সহচবদিগকে কৰ্ম্মে সুদক্ষ হইতে শিক্ষা দিতেন, আমি এক্ষণে তাহাই বৰ্ণনা কবিব । তিনি বিশ্বাস করিতেন, যে-ব্যক্তি কোনও শোভন কৰ্ম্ম কবিতে চাহে, তাহার পক্ষে আত্মসংযম এক মহৎ গুণ ; এজন্য, তিনি প্রথমতঃ সহচরীগণেব সম্মুখে আপনাকে সমগ্ৰ মানবজাতির মধ্যে আত্মসংযম সাধনেব এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্তরূপে প্ৰতিষ্ঠিত কবিয়া বাখিয়াছিলেন ; তৎপরে, তিনি সহচরদিগের সহিত আলাপ কবিবাবে কালে তাহাদিগকে সর্বোপরি সংযম অভ্যাস করিতে উপদেশ দিতেন। সুতরাং যাহা ধৰ্ম্মের (arete) পবিপোষক, তিনি সর্বদাই তদ্বিষয়ে আলাপ করিবার কথা স্মবাণ রাখিতেন, এবং 99