পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89 সোক্রেটস [ »भ उांश BDBD DBBLD DBukO DDBS DDD DDDS SBBDB DBBBBDB D সুসঙ্গত তত্ত্ব অপরের হাতে তুলিয়া দেওয়া জ্ঞান-চৰ্চার গৌণ প্রয়োজন। সোক্রেটীস এই গৌণ প্রয়োজনটী পশ্চাতে রাখিয়া পূর্ববর্ণিত মুখ্যোদ্দেশ্য সাধনেই স্বীয় শক্তি বিশেষভাবে নিয়োজিত করিয়াছিলেন। জীব-বিজ্ঞান বলিয়া থাকে, প্ৰাণ হইতেই প্ৰাণ নিঃসৃত হইয়াছে, কেবল জীবনই জীবন দিতে পারে। সোক্রোটসের সংস্পর্শে আসিয়া কত লোকের প্রাণে নব্বচেতনার সঞ্চার হইয়াছে, অন্তরে জ্ঞানাহরণে উৎসাহ জন্মিয়াছে, মনোবৃত্তি পুষ্টিলাভ করিয়াছে। প্রশ্ন ও উত্তর অবলম্বন করিয়া মন মনের উপরে ক্রিয়া করিয়াছে; আত্মায় আত্মায় ঘাত প্ৰতিঘাত উৎপন্ন হইয়াছে, নবভাব ও নবশক্তির স্বচ্ছুরণ ঘটিয়াছে। ইহাই তত্ত্বান্বেষণের সর্বাপেক্ষা অনুকূল অবস্থা। সমুদ্রে টৰ্পিডো নামক একজাতীয় মৎস্ত আছে, তাহার দেহে তাড়িতের শক্তি এত প্রবল, যে উহাকে স্পর্শ করিবামাত্র লোকে একটা আঘাত অনুভব করে। প্লেটো লিখিয়াছেন, সোক্রোটসের তর্কপ্ৰণালীটী এই মৎস্যের ন্যায় ছিল। “মেনোন” নামধেয় প্রবন্ধে মেনােন বলিতেছেন—“সোফ্রাটীস, তোমার সহিত মিলিত হইবার পূর্বে আমি শুনিয়াছিলাম, যে তুমি কেবল নিজেকে বিভ্ৰান্ত কর, এবং অপরকেও বিভ্ৰান্ত করা ; ইহা ছাড়া তোমার আর কাজ নাই। এখন কিন্তু আমার মনে হইতেছে, যে তুমি আমাকে যাদু করিতেছ, ঔষধ দ্বারা মুগ্ধ করিতেছি, মন্ত্রবলে বশীভূত করিতেছ; এইজন্যই আমি একেবারে দিশাহারা হইয়া পড়িয়াছি। আমার পক্ষে যদি ব্যঙ্গ করা অসঙ্গত না হয়, তবে আমি বলিতে পারি, যে আমার মতে তুমি চেহারায় ও অন্যান্য বিষয়ে ঠিক সেই চ্যাপটা সামুদ্রিক মৎস্তের (টিপিডোর) মত। যে-কেহ কখনও এই মৎস্যের নিকটে আইসে ও ইহাকে স্পর্শ করে, তাহাকেই ইহা তৎক্ষণাৎ অবশ করিয়া ফেলে। আমার আত্মা ও মুখও সত্যই তেমনি অবশ হইয়াছে; কাজেই আমি জানি না, তোমাকে কি উত্তর দিব। আমি কতবার সহস্ৰ লোকের নিকটে ধৰ্ম্ম (arete)-বিষয়ে কত বক্তৃতা করিয়াছি-আমার বিবেচনায় উৎকৃষ্ট বক্তৃতাই করিয়াছি- অথচ এক্ষণে ধৰ্ম্ম জিনিসটী যে কি, তাহাই আমি বলিতে পারিতেছি না। আমার