পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৮১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অধ্যায়। ] ধৰ্ম্ম ዓb”ር ংশ, এবং বিপুল বারির কি সামান্য অংশই প্ৰাপ্ত হইয়াছখি অন্যান্য উপাদানগুলিও বৃহৎ-তোমাকে স্বীকার করিতেই হইবে, যে প্রত্যেকটার অণুপরিমাণ অংশ লইয়া তোমার দেহখানি বাচিত হইয়াছে। তবে তুমি কি মনে করে, যে, ( জগতে ) অন্য কোথাও জ্ঞান নাই, কেবল তুমিই দৈবক্ৰমে উহা আত্মসাৎ কবিয়াছ ? আর এই যে অতি বিশাল ও অসংখ্য জড়পিণ্ডসমূহ, তাহা তোমাৰ মতে একটা অজ্ঞানতা দ্বাবাই সুশৃঙ্খল ভাবে दिभूड लश्ग्रिांछ ?” “না, জগতের অন্যত্র জ্ঞানময় কিছুই নাই ; কেন না, সংসারে যাহা রচিত হয়, আমি যেমন তাহাব বচককে দেখিতে পাই, সে প্রকার ( বিশ্বের ) কৰ্ত্ত কাহাকেও দেখিতে পাইতেছি না।” “বেশ, কিন্তু যে-আত্মা তোমাব দেহেব কৰ্ত্তা, তুমি তো তোমার সেই আত্মাকেও দেখিতে পাও না । এই রূপে বিচাবি করিলে তোমাকে বলিতে চাইবে, যে তুমি বুদ্ধিপূর্বক কিছুষ্ট কর না, প্ৰত্যুত সকলই দৈববশে করিয়া থাক।” আরিষ্টডামস বলিলেন, “সোফ্র্যাটস,, আমি দেবগণকে অবজ্ঞা করি না ; কিন্তু আমার বিবেচনায় তাহাবা এত বড়, যে আমাদেব সেবায় তাহাদিগের কোনই প্রয়োজন নাই।” সোক্রেটীস বলিলেন, “কিন্তু তাহাবা তোমার সেবার পক্ষে ষত বড়, ততই তোমার অধিকতর পূজার পাত্র।” “নিশ্চয় জানিও, যে আমি যদি মনে করিতাম, যে দেবতারা মানবের বিষয়ে ভাবেন, তবে আমি তঁহাদিগকে উপেক্ষা করি তাম না ।” “তবে, তুমি কি বিশ্বাস কর না, যে র্তাহারা (মানুষের বিষয়ে) ভাবেন ? প্রথমতঃ, তাহারাই সমুদায় প্রাণীর মধ্যে একা মানুষকে ঋজু করিয়া স্বষ্টি করিয়াছেন। এই ঋজুতাই মানুষকে সম্মুখে দূরতর বস্তু দেখিতে এবং উৰ্দ্ধে সমুদায় পদার্থ উত্তমতর রূপে অবলোকন করিতে সমর্থ করে ; আর শরীরের যে-ভাগে তঁাহাবা চক্ষু, কর্ণ ও মুখ স্থাপন করিয়াছেন, ऊाश्t७ এই জন্যই অল্প অনিষ্টপাত হয়। তৎপরে, অপর জন্তুদিগকে তাহারা শুধু পদ দিয়াছেন, তৎসাহায্যে তাহারা কেবল চলিয়া বেড়াইতে ଈଳିତ