পাতা:সোক্রাটীস (প্রথম খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোক্রেটস [ ভূমিকা سواه\ পৃথিবীতে যে সকল ভোগ আছে, অগ্নিতে যাহা আছে ও জলে যাহা আছে, পিতার পক্ষে তদপেক্ষা অধিক ভোগ পুত্রে রহিয়েছে। পিতা সর্বদা পুত্রের সাহায্যে বহু দুঃখ অতিক্রম করেন। " আত্মাই আত্মা হইতে (পুত্ররূপে) উৎপন্ন, সেই পুত্র (ভাবসমুদ্রে) পাৱ করিবার পক্ষে অন্নপূর্ণ উৎকৃষ্ট তরণীস্বরূপ। মল, অজিন, শ্মশ্রু s তপস্যা, এ সকলে অর্থাৎ আশ্রম চতুষ্টয়ে কি হইবে ? হে বিপ্ৰগণ, তোমরা পুত্ৰ ইচ্ছা কর, পুত্ৰই অনিন্দনীয় লোকস্বরূপ। অন্ন প্ৰাণ দেয়, বস্ত্র শরণ (শীত হইতে আশ্ৰয়) দেয়, হিরণ্য রূপ দেয়, বিবাহ করিয়া পশু পাওয়া যায় ; জায়া সখিস্বরূপ ; দুহিতা দৈন্যহেতু ; কিন্তু পুত্র পরম বোমে জ্যোতিঃস্বরূপ।” ( ৬/রামেন্দ্ৰসুন্দর ত্ৰিবেদীর অনুবাদ ) । প্লেটোও বলিতেছেন, “মানুষের কৰ্ত্তব্য এই, যে সে বংশধর রাখিয়া যাইয়া অমরত্ব লাভের অভিলাষী হইবে।--যে বংশধরেরা তাহার স্থলাভিষিক্ত হইয়া ঈশ্বরের সেবাবত গ্ৰহণ করিধে।” (Lamps, I V.) “দুহিতা দৈন্যহেতু”, এরূপ কথা গ্ৰীকেরাও বলিত। যাক, আমরা আবার বিবাহের প্রসঙ্গেই প্ৰত্যাবর্তন করি । আথেন্সে মনোনয়ন প্ৰথা প্ৰচলিত ছিল না, তথায় পিতামাতাই সন্তানের বিবাহসম্বন্ধ স্থির করিতেন। আবশ্যক হইলে তঁাহারা এক জন ঘটকীর সাহায্য লইতেন। গ্ৰীক সাহিত্যে পূৰ্বরাগের উপাখ্যান নাই বলিলেই হয়। বৰ্ত্তমান ইয়ুরোপীয় সমাজের তুলনায় অল্প বয়সেই বালিকাদিগের বিবাহ হইত। পূর্ণিমা ও শুক্ল পক্ষের চতুর্থী তিথি এবং শীত ঋতু উদ্বাহক্রিয়া সম্পাদনের প্রশস্ত কাল ছিল। ভারতবর্ষের ন্যায় গ্রীসেও উহা একটী পবিত্ৰ ধৰ্ম্মানুষ্ঠান বলিয়া গণ্য হইত, কিন্তু উহার সমুদায় অঙ্গ গৃহকর্তা ও গৃহকত্রীই সম্পাদন করিতেন, উহাতে পুরোহিতের কোনও স্থান ছিল না। বিবাহের দিন ক্ষণ সুন্মরূপে দেখা হইত, এবং জনকজননী দেবতাদিগের চরণে নৈবেদ্য উৎসর্গ করিয়া তেঁহাদিগের আশীৰ্বাদ ভিক্ষণ করিতেন। জেয়ুস, হীরা, আফ্রিডিট, আর্টেমিস, ও থেমিস বিবাহের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা ছিলেন। বিবাহের দিনে, এই কল্যাণকৰ্ম্ম অনুষ্ঠানের পূর্বে, বীরকন্যা স্বীয় বাসস্থানের অদূরবর্তী পবিত্র