পাতা:সোক্রাটীস (প্রথম খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b་ལ་ অধ্যায়। ] গ্ৰীক ধৰ্ম্ম >>á ধৰ্ম্ম ও সামাজিক বিধিব্যবস্থাগুলিকে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে ঈশ্বর হইতে নিঃসৃত বলিয়া বিশ্বাস না করে । এই বিশ্বাসানুসারেই এক একটী উন্নত জাতি আপনার ধৰ্ম্মকে ভগবৎপ্ৰকাশিত (revealed) ও অপর সমুদায় ধৰ্ম্মকে নৈসৰ্গিক (natural) বলিয়া আখ্যাত করিত। ১৮৫৯ সনে ডারুইনের Origin 2/* Species নামক পুস্তকখানি সহসা পাশ্চাত্য জাতিসমূহের ধৰ্ম্মের এই শ্রেণীবিভাগজনিত আত্মতৃপ্তিতে নিদারুণ আঘাত করে। তিনি অকাট্য যুক্তিসহকারে অভিব্যক্তিবাদকে অটল ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করিয়া দেখাইয়া দিলেন, যে যেমন জীবদেহে, তেমনি ধৰ্ম্মে, সমাজে ও রাষ্ট্রে ক্রমবিকাশের নিয়ম অবিরাম আপনার কাজ করিয়া যাইতেছে ; মানবের এই পরম সুন্দর দেহ যেমন কোনও এক শুভমুহুর্তে বিধাতার হস্তে রচিত হইয়া পরিপূর্ণতা লাভ করে নাই, বর্তমান কালের মহত্তর ধৰ্ম্ম সমূহও তেমনি একদা পূর্ণাবয়বরূপে জনসমাজে প্ৰকাশিত হয় নাই। মানুষ অনেক ভয়বিভীষিকা ও অন্ধসংস্কারের জালজঞ্জাল বহিয়া, এবং অজ্ঞানতা ও সংশয়ের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করিয়া অতি ধীরে ধীরে বহুযুগের সাধনের ফলে সুমার্জিত ঈশ্বর বিশ্বাসে উপনীত হইয়াছে। সুতরাং প্ৰত্যেক ধৰ্ম্মের ইতিহাসেই অভিব্যক্তির চিহ্ন বর্তমান আছে। প্ৰকারান্তরে বলা যাইতে পারে, যেমন স্তরে স্তরে ভূপঞ্জর পরীক্ষা করিয়া এই ধরিত্রীর জীবনকাহিনী অধ্যয়ন করিতে হয়, তেমনি কোনও ধৰ্ম্মের ইতিহাস বুঝিতে হইলে উহার বিভিন্ন স্তরগুলিই আমাদিগকে ঐ ধৰ্ম্মের জীবনধারার অনুসরণ করিতে সমর্থ করিয়া থাকে। হিন্দু ও গ্ৰীক, ইহুদী ও খৃষ্টীয়, সকল ধৰ্ম্ম সম্বন্ধেই এ কথা খাটে। অভিব্যক্তিবাদ গৃহীত হওয়াতে ধৰ্ম্মের মহিমা কিছুমাত্র থর্ব হয় নাই। “এষ সেতুর্বিধরণ এষাং লোকানামসম্ভেদায়” (বৃহদারণ্যক।। ৪৪৷২২ )--“লোকসমূহ যাহাতে উচ্ছিন্ন না হয়, এজন্য তিনিই সেতুস্বরূপ হইয়া এই বিশ্বকে ধারণ করিয়া রহিয়াছেন”—উপনিষদের এই প্ৰসিদ্ধ বাণী ত্রিসহস্ৰ বৎসর পুর্বে যেমন সত্য ছিল, আজও তেমনি সত্য রহিয়াছে। কেন না, ধৰ্ম্মের অভিব্যক্তি SDDBBD DB DBuBS BD DD YYuDSDD DBDDDBBDSDD BDODB হইতে যাত্ৰা করিয়া “সুদূর গগনক্রোড়ের" কোন ধ্রুবতারার দিকে