পাতা:সোক্রাটীস (প্রথম খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 O সোেক্রটাস [ जूमिका মহৎ লক্ষ্য বিস্তমান ছিল। আথেন্স ঐহিক বৈভবে এবং জ্ঞানে, শিল্পে ও সভ্যতায় হেলাসের রাণী হইবে, এবং গ্রীক জাতি তাহান্ন পতাকার তলে মিলিত হইয়া যুগযুগান্তরের অনৈক্য ভুলিয়া যাইবে-এই মনোমোহন আদর্শই তাহার জীবনব্যাপিনী সাধনাকে অনুপ্ৰাণিত করিয়াছিল। তাহার একটী বক্তৃতায় এই আদর্শ উজ্জ্বলারুপে পরিস্ফুট হইয়াছে। আমরা উহার প্রয়োজনীয় অংশ উদ্ধত করিতেছি। পেলপনীসস যুদ্ধের প্রথম বর্ষে যে সকল আখীনীয় বীর রণক্ষেত্রে নিহত হয়, এই বক্তৃতাৰ্টী তাহাদিগের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিরূপে প্ৰদত্ত হইয়াছিল। প্ৰথমে পূৰ্বপুরুষগণের গুণ কীৰ্ত্তন করিয়া পেরিকীস কহিতেছেন,- “ “আমাদিগের ও অপরের শাসন-প্ৰণালীর মধ্যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাই, কেন না, অপরে আমাদিগের অনুকরণ করে, আমরা কাহারও অনুকরণ করি না । এই শাসন-প্ৰণালী অধিকাংশের হস্তে ন্যস্ত আছে, ইহা অল্পসংখ্যকের করায়ত্ত নহে, এজন্য ইহার নাম গণতন্ত্র । কিন্তু রাষ্ট্রের নিয়ম অনুসারে সকলেরই নিজ নিজ স্বার্থ-সংরক্ষণের সমান অধিকার আছে ; অথচ যোগ্যতা থাকিলে কেহই উপেক্ষিত হয় না; যে কেহ যোগ্য বলিয়া খ্যাতি লাভ করে, সেই রাষ্ট্ৰীয় কৰ্ম্মে নিযুক্ত হয়; তাহাতে তাহার সামাজিক মৰ্য্যাদা নয়, কিন্তু শুধু যোগ্যতাই বিবেচিত হইয়া থাকে। এখানে দারিদ্র্য কাহাকেও সেবার অধিকার হইতে বঞ্চিত করে না; যোগ্য ব্যক্তি অজ্ঞাতি-কুলশীল হইলেও রাষ্ট্রের হিত সাধন করিতে পারে। রাষ্ট্রীয় ও দৈনন্দিন জীবনে আমরা সমভাৰে ঔদার্ঘ্য রক্ষা করিয়া চলি ; মানুষে মানুষে সাক্ষাৎ হইলেই তাহারা পরস্পরকে সন্দেহের চক্ষুতে নিরীক্ষণ করে, কিন্তু আমাদিগের প্রতিবেশী নিজের ইচ্ছানুরূপ কিছু করিলে আমরা তাহাতে রুষ্ট হই না, কিংবা তাহার প্রতি কটু দৃষ্টিপাত করি না,-কটু দৃষ্টি কোনও ক্ষতি করে না বটে, কিন্তু তথাপি ইহা কম বিরক্তিকর নহে। আমরা পরস্পরের সাহচর্ঘ্যে যেমন স্বেচ্ছানুগামী, রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মে তেমনি সংযত ; আমরা রাজপূরুষ ও রাষ্ট্রীয় বিধিসমূহের প্রতি শ্ৰদ্ধা পোষণ করি ; বিশেষতঃ অপকৃত ব্যক্তিগণের রক্ষা যে সকল বিধির লক্ষ্য; এবং যে বিধিগুলি অলিখিত ও বাহা লঙ্ঘন