পাতা:সোক্রাটীস (প্রথম খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ অধ্যায়। ] শাসন-প্ৰণালী VNO) এই সভা মন্ত্রণা করিয়া নিৰ্দ্ধারণ করিত। (৩) পরিশেষে, কতকগুলি অপরাধের বিচার ও দণ্ড-প্ৰদানের ভার এই সভার প্রতি আপিত হইয়াছিল । এত বড় একটা সভার পক্ষে এই সকল কাৰ্য্য সুনিৰ্বাহ করা কঠিন, এজন্য এই সভা কতকগুলি কমিটি নিয়োগ করিত। এক এক শাখার পঞ্চাশ জন সভ্য লইয়া এক একটী কমিটি গঠিত হইত। এই কমিটিগুলির নাম প্ৰণ্যটানোইস (Prytancis) ৷ প্ৰত্যেক কমিটি বৎসরের একাদশমাংশ ভাগ নায়কের কাৰ্য্য করিত । পঞ্চম শতাব্দীতে দশ দশ জন সভ্য লইয়া ইহা অপেক্ষাও ক্ষ-দ্র কমিটি (Proedri) বা কাৰ্য্যনিৰ্বাহক সভা গঠিত হইত। এই ক্ষুদ্র কমিটি গুলির এক একটী এক এক সপ্তাহ কৰ্ম্ম নির্বাহ করিত। ইহার সভ্যগণ প্ৰত্যেকে এক দিনের জন্য মন্ত্রণা-সভা ও জনসাধারণ সভার সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত থাকিতেন। তখন তিনি “অধ্যক্ষা” (Epistates) নামে অভিহিত হইতেন। (২) জনসাধারণ সভা । আঠার বৎসরের অধিক বয়স্ক সমুদায় স্বাধীন আখীনীয়দিগকে লইয়া এই সভা গঠিত হইয়াছিল। নামে প্ৰাপ্তবয়স্ক পুরবাসী মাত্ৰেই ইহার সভ্য হইলেও উপস্থিত সভ্যোর সংখ্যা কোন কালেই পাচ সহস্র অতিক্রম করে নাই। যে সকল বিধি ব্যবস্থার জন্য সমগ্র রাষ্ট্রবাসীর সম্মতি আবশ্যক, তাহাতেও ছয় হাজার লোকের মতই রাষ্ট্রের মত বলিয়া পরিগৃহীত হইত। কাৰ্য্যবিশেষে এই সভার নিয়মিত ও অনিয়মিত, এই দুই প্রকার অধিবেশন ছিল। কোনও গুরুতর প্রশ্ন উপস্থিত হইলেই মন্ত্রণা-সভা তাহার আলোচনা করিয়া এক বিশেষ অধিবেশনে এই সভার নিকটে তাহা উপস্থিত করিত। মন্ত্রণা-সভায় পূর্বে আলোচিত না হইলে জনসাধারণের সভায় কোন বিষয়েরই বিচার হইতে পরিবে না, এই প্রকার নিয়ম থাকিলেও এতদ্বারা এই সভার অপরিসীম ক্ষমতার কিছুমাত্র ব্যাঘাত ঘটে নাই ; কেন না, এমন কতকগুলি উপায় ইহার করায়ত্ত ছিল, যাহাতে ইচ্ছা করিলেই ইহা যে কোনও বিষয়ের বিচারে প্রবৃত্ত হইতে পারিত।