পাতা:সোক্রাটীস (প্রথম খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१भ अथाश ] শিক্ষা-পদ্ধতি 8N গাহিতে হুইবে, ইহাই নিয়ম ছিল। তাহারা হোমারের কবিতা আবৃত্তি কবিত, সিমনিভীস বা সাফোর কবিতা গান করিত। গ্রীকেরা, বিশেষতঃ আখীনীয়েরা উত্তম পাঠ, উত্তম আবৃত্তি ও উত্তম গানের উপরে খুব বেশী জোর দিত ; যে যুবক এই তিনটীতেই সুদক্ষ না হইত, তাহাকে তাহারা অশিক্ষিত বিবেচনা করিত। যুবকদিগকে সদা সৰ্ব্বদাই গহে বা সাধারণ উৎসবক্ষেত্ৰে আবৃত্তি করিতে বা গাহিতে হইত ; সুতরাং এই অক্ষমতা গোপন রাখিবার উপায় ছিল না । প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ে বালকদিগকে বীণা সংযোগে গম্ভীর ও বীরত্বব্যঞ্জক ডোরিকরাগে গান গাহিতে শিক্ষা দেওয়া হইত। এই যুগে ললিত, কোমল ও চিত্তোদ্বোিলকারিণী রাগিণী আথেন্সের বিদ্যালয়ে প্ৰবেশ লাভ করে নাই । আর্থীনীয়েরা জীবিকা উপাৰ্জনের জন্য গীত, বাদ্য বা অপরাপর কলাতে দক্ষতা লাভ করা স্বাধীন ও স্বপ্রতিষ্ঠ মানুষের পক্ষে হেয় জ্ঞান করিাত ; এজন্য শিক্ষকেরা ছাত্ৰাদিগকে ব্যবসাদার লোকের মত গীতবাদ্যে সুনিপুণ করিয়া গড়িয়া তুলিতে প্ৰয়াস পাইতেন না। গ্রীসে সঙ্গীতবিদ্যার কি গৌরব ছিল, বৰ্ত্তমানকালে তাহা ধারণা করা কঠিন । আজকাল যেমন অনেকে গীতবাদ্যটাকে একটা আমোদের উপায় বলিয়া মনে করেন, গ্ৰীকেরা তাহা করিত না ; তাহারা চরিত্রগঠনের সহায়ারূপেই উহার এত সমাদর করিত। সঙ্গীত মানবের উদাম প্ৰবৃত্তিকে শাস্ত করিয়া চিত্তকে সাম্যাবস্থায় আনয়ন করে ; উহার প্রভাবে অস্তরের রিপুসমূহ ও ইচ্ছাশক্তির বিরোধ তিরোহিত হইয়া যায়, এবং এইরূপে মানুষ রাষ্ট্রের অপর সকলের সহিত মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ হইয়া শান্তিতে জীবন যাপন করিতে সমর্থ হয়, কেন না, অন্তরে শান্তি স্থাপিত না হইলে বাহিরে শান্তির অন্বেষণ বৃথা-গ্ৰীকেরা এই তত্ত্বটী গ্ৰহণ করিয়াছিল বলিয়াই তাহাদিগের শিক্ষা-পদ্ধতিতে সঙ্গীতের এমন সমাদর छिव् । এই যুগে সাহিত্যশিক্ষা, সঙ্গীতশিক্ষার অন্তর্গত ছিল, সুতরাং একই শিক্ষক উভয়বিধ বিদ্যা শিক্ষা দিতেন। তিনি ছাত্ৰাদিগকে পাটীগণিতও শিথাইতেন। এই কাজটা অতি দুরূহ ছিল। কারণ, গ্ৰীকেরা হিন্দুদিগের q