পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀN9 সৌন্দৰ্য্য-তত্ত্ব । মূৰ্ত্তির প্রত্যেক অঙ্গ ভাল করিয়া বিশ্লেষণ করিয়া দেখিলে অবাক হইতে হয়। একবার মানসনেত্ৰে কবিকুল চুড়ামণি কালিদাসের বল্কলপরিধান, আভরণবিহীনা, অঙ্গরােগশ্বন্যা, স্বভাব সুন্দরী শকুন্তলার রূপ রাশির প্রতি দৃষ্টিপাত করুন। দেখিতে পাইবেন সরসিজমনুবিদ্ধং শৈবলেনাপি রম্যং মলিনমপি হিমাংশে লক্ষ্ম লক্ষ্মীং তনোতি। ইয়মধিক-মনোজ্ঞা বন্ধলে৷নাপি তৰী। কিমিব হি মধুরাণাং মণ্ডনং নাকৃতীনাং ৷ পদ্ম শৈবলে পরিব্যাপ্ত হইলে ও সুন্দর। চন্দ্রের কলঙ্ক মলিন ঠাইলেও শোভা বিস্তার করে। এই কৃশাঙ্গী বল্কলপরিধান হইলেও অতিশয় মনোজ্ঞা। স্বভাবসুন্দর দেহে কোন জিনিষই বা ভূষণ স্বরূপ नों श्न ? কি মনোরম ভাব ! কি রুচিসঙ্গত চিত্ৰ ! স্বভাবসুন্দর পদার্থ নিজেই সুন্দর, পরিচ্ছন্দ পারিপাট্য তাহার শোভা বৃদ্ধি করিতে অক্ষম। কালিদাসের রচনার সমস্ত অংশই মধুর ও প্ৰাণস্পর্শী । ‘মহাকবি কালিদাস র্তাহার বিশাল চিত্রপটে প্ৰকৃতিপুরুষের পরিণতি আঁকিয়া দেখাইয়াছেন। সে চিত্রের বিস্তার-পৃথিবী হইতে স্বৰ্গ পৰ্য্যন্ত। সে চিত্রে গ্ৰীক নাটকের আকারগত সৌন্দৰ্য্য, জৰ্ম্মান নাটকের প্রণালীগত আধ্যাত্মিকতা এবং ইংরাজী নাটকের কাৰ্য্যগত জীবন্ত ভাব পূর্ণ মাত্রায় লক্ষিত হয়। সেই সৌন্দৰ্য্যপূর্ণ ভাবগভীর গুঢ় রহস্যব্যঞ্জক মহাপটের নাম অভিজ্ঞান শকুন্তল ।” * অভিজ্ঞানশকুন্তলের সৌন্দৰ্য্যে

  • স্বৰ্গীর চন্দ্রনাথ বসুর “শকুন্তলাতত্ত্ব” হইতে গৃহীত। দেখুন গেটে কালিদাস সম্বন্ধে কি বলিয়াছেন,-