পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d o R সৌন্দৰ্য্য-তত্ত্ব । আনন্দ দিতে পারে ? শিল্পকলাতে যে জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়, শিল্পকলা আমাদিগকে যে পরিমাণ রস দিতে পারে, প্ৰকৃতি-প্রদত্ত জ্ঞানের সহিত, প্ৰকৃতি-প্রদত্ত রসের সহিত তাহার তুলনা হইতে পারে না। শিল্পকলার রস অনেক পরিমাণে একঘেয়ে, তাহাতে ভাব-বৈচিত্ৰ্য খুব কম । স্থাপত্য, ভাস্কৰ্য, ও চিত্রে ভাবের বৈচিত্ৰ্য নাই বলিলেই হয়। সঙ্গীত ও কাব্যে কতকটা ভাবের বৈচিত্ৰ্য পরিদৃষ্ট হয় বটে, কিন্তু তাহাদের ভাব-বৈচিত্ৰ্য প্রকৃতির ভাব-বৈচিত্র্যের তুল্য হইতে পারে না। প্রকৃতিতে পরিবাৰ্ত্তন, ব্যক্তিত্ব ও জীবন বিদ্যমান আছে। তদ্ধোতু প্রকৃতিতে নিত্য-নূতন ভাবের খেলা দেখিতে পাওয়া যায়, প্ৰকৃতি निडा-नूङन রসে জনগণের মনোরঞ্জনে সমর্থ । শিল্পকলার রচনাতে সান্ত মনের পরিচয় পাওয়া যায়, কিন্তু বিশাল প্ৰকৃ৩িরাজ্যে অনন্ত জ্ঞানের, अनङ्ठ अनgन्द्र *द्धि5 *ां&श्व या । শিল্পকলা সান্ত মনের অপত্য, কিন্তু প্ৰাকৃত জগৎ অনন্ত সচ্চিদানন্দময় পুরুষের অপত্য। প্ৰাকৃত জগৎ অনন্ত ব্ৰহ্ম হইতে উদ্ভূত হইয়াছে, অনন্ত ব্ৰহ্মে অবস্থিত আছে এবং প্ৰলয়কালে অনন্ত ব্ৰহ্মে প্ৰবেশ করিবে । প্রাকৃত জগতের ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সমস্ত পদার্থই এক মহান পুরুষের মহিমা ও সৌন্দৰ্য্য ঘোষণা করে। এক দিকে যেমন নক্ষত্ৰখচিত সুনীল আকাশ, গ্ৰহোপগ্ৰহ মণ্ডিত সৌরজগৎ এক জ্ঞানময় পুরুষের মহিমা সঙ্কীৰ্ত্তন করিতেছে, অপর দিকে অদৃশ্যপ্ৰায় বালুকণা, সামান্য তৃণখণ্ড, ক্ষুদ্রতম কীটাণু সেই পরম পুরুষের বন্দনা করিতেছে। নগাধিরাজ হিমালয়, সুবিশাল সমুদ্র ধনধান্যপূর্ণ বসুন্ধরা এক অদ্বিতীয় পুরুষের কাহিনী বিবৃত করিতেছে, সকলেরই মুখে এক কথা-“অসীম রহস্য মাঝে কে তুমি মহিমাময় ?” পণ্ডিতগণ প্রকৃতিতে অসীম জ্ঞানের পরিচয় পাইয়া, প্ৰকৃতির সৌন্দৰ্য্যে মোহিত হইয়া কত কি না বলিয়াছেন !