পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য-তত্ত্ব। واله د য়াছে ও করিতেছে। প্ৰকৃতি তাহদের নিকট প্ৰাণের কত কথা বিবৃত করিয়াছে। প্ৰকৃতি অন্ধকবি হোমারের সহিত, কবিবর মিলটন ও সেক্সপিয়রের সহিত, কবিকুলচুড়ামণি কালিদাসের সহিত; কৰি ওয়াডসোয়ার্থের সহিত কত কথা বলিয়াছে, তাহাদিগের নিকট অন্তরের কত গুঢ় কাহিনী উদঘাটিত করিয়াছে; কিন্তু তথাপি প্ৰকৃতির নিত্যনুতন ভাণ্ডারের সমস্ত ধন কি ফুরাইয়া গিয়াছে ? এই অফুরন্ত ভাণ্ডারের ধন ফুরাইবার নহে! এই ভাণ্ডারের যিনি স্বামী, তিনি অনাদি অনন্ত ব্ৰহ্ম। প্ৰকৃতি যত রত্ন বিলাইতেছে, তত রত্বেই কোষপূর্ণ হইতেছে। কবিগণ আন্তর চক্ষে প্রকৃতির অন্তরালে অবস্থিত অমৃতপুরুষের বিমোহন রূপ দেখিয়া ধন্য হয়েন। দেখুন, ভক্ত-কবি জ্ঞানদাস প্ৰকৃতির মাধুৰ্য্যে কিরূপ মুগ্ধ হইয়া ভগবানের নিকট এই রহস্তের মৰ্ম্ম জানিতে চাহিয়াছেন,- মুরলী করাও উপদেশ। যে রন্ধে, যে ধ্বনি উঠে জানহ। বিশেষ। কোন রন্ধে, বাজে বঁাশী অতি অনুপম ? কোন রান্ধে, রাধা ব’লে ডাকে মোর নাম ? কোন রন্ধে, বাজে বঁাশী সুললিত ধ্বনি ? কোন রন্ধে, কেকারবে নাচে ময়ুরিণী ? কোন রন্ধে, রসালে ফুটায় পারিজাত ? কোন রন্ধে, কদম্ব ফুটে হে প্ৰাণনাথ ? কোন রন্ধে ষড়ঋতু হয় এককালে ? কোন রন্ধে, নিধুবন হয়। ফলস্কুলে ? কোন রন্ধে, কোকিল পঞ্চম স্বরে গায় ? একে একে শিখাইয়া দেহ খামরায় ॥ खaनज।