পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দর্ঘ্যের শ্রেণী বিভাগ। Sct, প্ৰাকৃত জগতের সীমা নির্দেশ করা হইলেই অপ্ৰাকৃত জগতের সীমা জানা যাইতে পারে। শ্ৰীমদ্ভগবদগীতাতে” প্ৰাকৃত জগতের সীমা নির্দেশ করা হইয়াছে । ኜ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা বলেন,- “ভূমিরাপোহনলো বায়ু খং মনো বুদ্ধিরেব চ। অহংকার ইতীয়ং মে ভিন্ন প্ৰকৃতিরষ্টধা ৷” गर्थ स्थां { পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু, আকাশ, মন, বুদ্ধি, ও অহঙ্কার আমার ( পরমেশ্বরের ) এই অষ্টবিধ ভিন্ন প্ৰকৃতি। পরমেশ্বরের মায়াশক্তি আট প্রকারে বিভাগ প্ৰাপ্ত হইয়াছে। পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু, আকাশ, মন, বুদ্ধি ও অহঙ্কার-মায়াশক্তিরই পরিণাম । সুতরাং মন, বুদ্ধি, অহঙ্কার পর্য্যন্ত প্ৰাকৃত জগতের অন্তর্গত। তদুৰ্দ্ধে যে সচ্চিদানন্দময় নিত্য জগৎ আছে তাহাই অপ্রাকৃত জগৎ। সৌন্দৰ্য্যও প্রাকৃত অপ্ৰাকৃত ভেদে দুই প্ৰকার। পরবর্তী অধ্যায়ে সৌন্দৰ্য্যের শ্রেণী বিভাগ সম্বন্ধে আলোচনা করা যাইবে । (৪) সৌন্দর্ঘ্যের শ্রেণী বিভাগ। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের মধ্যে কেহ কেহ সৌন্দৰ্য্যের শ্রেণী বিভাগ করিয়াছেন। দার্শনিক প্লটিনাশ ( Plotinus ) তিন শ্রেণীর সৌন্দর্ঘ্যের কথা উল্লেখ করিয়াছেন-মানবীয় প্রজ্ঞার সৌন্দৰ্য্য, মানবাত্মার সৌন্দৰ্য্য, প্রাকৃত সৌন্দৰ্য্য। তাহার মতে প্ৰাকৃত সৌন্দৰ্য্য অপেক্ষা মানবাত্মার সৌন্দৰ্য্য শ্রেষ্ঠ, মানবাত্মার সৌন্দৰ্য অপেক্ষা প্রজ্ঞার সৌন্দৰ্য শ্রেষ্ঠ। প্লটনাশ তিন শ্রেণীর সৌন্দৰ্য্যের নাম করিয়াছেন মাত্র, কিন্তু সৌন্দৰ্য্যের কোন পরিষ্কার শ্রেণী বিভাগ করেন নাই। ইংরাজ দার্শনিক লর্ড সাফটসবারি