পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্যের স্বরূপ। .ኔb¢¢ • নিউটন এই সিদ্ধান্তেও উপনীত হইয়াছেন যে, বস্তু স্বভাবজাতঃ বর্ণযুক্ত নহে, অর্থাৎ তাহদের নিজের কোন বর্ণ নাই ; কিন্তু তাহদের সাদা আলো বিশ্লেষ করার এবং বিশ্লিষ্ট আলোকরশ্মিসমূহকে অসমান ভাবে প্ৰতিফলিত করার ক্ষমতা আছে। সিন্দুরের নিজের লাল বর্ণ নাই, কিন্তু উাহার লালবৰ্ণ প্ৰতিফলিত করার এবং অন্যান্য বর্ণ লোপ করার ক্ষমতা আছে। বৃক্ষের পত্রের প্রকৃত পক্ষে সবুজ বর্ণ নাই, কিন্তু উহাদের অন্যান্য বর্ণ অপেক্ষা সবুজ বর্ণ অধিক পরিমাণে প্ৰতিফলিত করার ক্ষমতা আছে। সংক্ষেপতঃ বস্তু যে আলো প্ৰতিফলিত করে উহাই তাহার বর্ণ। একটু স্থিরভাবে চিন্তা করিলে এই বৈজ্ঞানিক সত্যের যথার্থ অনুভূত হয়। গভীর অন্ধকার রজনীতে কোন বস্তুরই বর্ণ পরিদৃষ্ট হয় না। র্যাহারা রেল গাড়ীতে গিরিতলবত্মা অতিক্ৰম করিয়া গিয়াছেন, তাহারা পরিষ্কাররূপে উপলব্ধি করিয়াছেন, অন্ধকারে কোন বস্তুরই বর্ণ থাকে না । এক সময়ে আমি গিরিডিতে কয়লার খনির কাৰ্য্য দেখার জন্য উত্তোলক যন্ত্রের সাহায্যে নিম্নভূমিতে নামিয়াছিলাম। নামার সময়ে পরিষ্কাররূপে বুঝিতে পারিয়াছিলাম যে, গভীর অন্ধকারে কোন বস্তুরই বর্ণ থাকে না । এরূপ তর্ক উপস্থিত করা যাইতে পারে যে, সূৰ্য্যালোকই সমস্ত বর্ণের জন্মদাতা হইলে, যে স্থলে সুৰ্য্যালোক প্ৰবেশ করে না,সেই স্থলে বর্ণোৎপত্তি সম্ভবপর হয় কিরূপে ? গভীর জলের মৎস্য, প্রাণিদেহের রক্ত, ভূগর্ভস্থিত আকরিক প্রস্তর, জীবকোষস্থিত মুসরি, খেসারি ও মটর ডাইল নানাবর্ণে চিত্রিত হয় কিরূপে ? এই তর্কের উত্তরে আমাদের বক্তব্য এই-- পূর্বকথিত পদার্থসমূহ সুৰ্যালোকে আনীত হইলেই উহাদিগকে নানাবর্ণে চিত্ৰিত দেখা যায়। গভীর অন্ধকারে উহাদের কোন বর্ণই থাকে নী । সুতরাং বস্তুর আলো প্ৰতিফলিত করার ক্ষমতার উপর বস্তুর বর্ণ নির্ভর করে, একথা অসত্য বলিয়া প্ৰতিপন্ন হয় না । বিজ্ঞান শুধু