পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্যের স্বরূপ। YèGN বিপৰ্যয় ঘটে এমত নহে। অতিশয় উত্তাথেও বস্তুমাত্রের স্বাভাবিক ধৰ্ম্মের বিপৰ্যয় ঘটে। সার নৰ্ম্মোন লকিয়ার (Sir Norman Lockyer) erfa করিয়াছেন যে, উত্তরোত্তর উত্তাপের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৌলিক পদার্থ সমূহ সুন্ম হইতে সূক্ষ্মতর অংশে বিভক্ত হইয়া অতিপরমাণুর (Ion ) আকার প্রাপ্ত হয়। বিভিন্ন উত্তাপে তপ্ত নক্ষত্ৰলোকের পরীক্ষা হইতে জানা যায় যে, অত্যধিক তাপে তপ্ত নক্ষত্ররাজ্যে মৌলিক পদার্থের সংখ্যা অতি কম। যতই আমরা অপেক্ষাকৃত শীতল হইতে শীতলতর নক্ষত্ৰলোক পরীক্ষা করি, ততই তাহদের মধ্যে রসায়নশাস্ত্ৰকথিত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ক্রমশঃ অধিক দেখিতে পাই। যে সব মৌলিক পদার্থের পারমাণবিক গুরুত্ব অত্যন্ত অল্প তাহাদিগকেই অত্যুত্তপ্ত নক্ষত্ৰালোকে দেখা যায়। আর যাহাদের পারমাণবিক গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত বেশী, তাহাদিগকে পরমাণুর গুরুত্বের পরিমাণানুসারে শীতল হইতে শীতলতর নক্ষত্ৰলোকে পাওয়া যায়। বিভিন্ন উত্তাপে তপ্ত একই জিনিসের ত্রিকোণ কাচে বিশ্লিষ্ট আলোক পরীক্ষা করিয়াও তিনি অনুরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন। তাই তিনি মনে করেন যে, উত্তাপের হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে সূক্ষ্মতম পরমাণু সকল হইতে গুরুতম পরমাণু সকলের সৃষ্টি হইয়া থাকে। আমরা কোন কোন পদার্থ স্বচ্ছ ( transparent ) এবং কোন কোন পদার্থকে অস্বচ্ছ ( opaque ) বলিয়া থাকি। যে সব পদার্থ ভেদ করিয়া আলো যাইতে পারে তাহাদিগকে স্বচ্ছ বলি, যেমন কাচ, জল ইত্যাদি, এবং যে সব পদার্থ ভেদ করিয়া আলো যাইতে পারে না। উহাদিগকে অস্বচ্ছ বলা হইয়া থাকে। সর্বসাধারণের ধারণা, বস্তুর স্বচ্ছতা ও অস্বচ্ছতা স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম। কিন্তু নূতন বিজ্ঞান অন্য কথা বলে। প্রায় বায়ুহীন কাচ-নলের দুই প্ৰান্তে ব্যাটারির তার সংযুক্ত করিয়া বিদ্যুৎ চালাইতে আরম্ভ করিলে উক্ত নলের ভিতর এক মনোহর আলো দেখা