পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >b‘ ] নিকট প্ৰকাশিত হইয়াছিল। সেই সময় ভারতীয় ঋষিগণ সৌন্দৰ্য্যের স্বরূপ সম্বন্ধে উচ্চৈঃস্বরে ঘোষণা করিয়াছেন,- ১ । “যদি বৈ তৎ সুকৃতং রসো বৈ সঃ । রসং হোবায়ং লব্ধানন্দী ভবতি ।”-তৈত্তিরীয়োপনিষৎ যিনি সুকৃত তিনিই রাসস্বরূপ । রসস্বরূপের রস প্ৰাপ্ত হইয়া জীব काननिड श् । ২ । “তদ্বিজ্ঞানেন পরিপশ্যন্তি ধীরা আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি।” —মুণ্ডকোপনিষৎ যাহা কিছু প্ৰকাশ পাইতেছে, তাহাই তাহার আনন্দরূপ, অমৃতরূপ। ধীর ব্যক্তিগণ বিজ্ঞান দ্বারা তাহার ঐ রূপ দৰ্শন করেন। ৩ । “এষান্ত পরম গতিরেষাস্থ্য পরম সম্পদেষোহস্ত পরমে লোক এযোহন্ত পরম আনন্দ এতস্যৈবানন্দস্য অন্যানি ভুতানি মাত্রামুপজীবন্তি।” -বৃহদারণ্যকোপনিষৎ, ৪র্থ অধ্যায়, ৩য় ব্ৰাহ্মণ ইহাই জীবের পরম গতি, ইহাই পরম সম্পৎ, ইহাই পরম লোক, ইহাই পরম আনন্দ। অন্য ভূত সকল এই আনন্দের কণামাত্র লাভ করিয়া আনন্দিত হয় । ৪ । “তমেব ভাস্তমনুভাতি সৰ্ব্বং তস্য ভাসা সর্বমিদং বিভাতি ।“-মুণ্ডকোপনিষৎ পরমাত্মার প্রকাশেই সমস্ত অনুপ্ৰকাশিত, তাহার দীপ্তিতেই সকলে দীপ্তি পাইতেছে। খ্রিীঃ পূঃ অন্ততঃ ২০০০ বৎসর পুর্বে ভারতীয় ঋষিগণ সৌন্দৰ্য্যের স্বরূপ সম্বন্ধে যাহা ( বলিয়াছেন তাহাই সার কথা । প্ৰাচীন কাল হইতে আরম্ভ করিয়া বৰ্ত্তমান বিংশ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত কেহই ইহা অপেক্ষা অধিক কিছু বলিতে পারেন নাই। প্ৰসিদ্ধ দার্শনিক বসার্কে (Bosanquet) তাহার