পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VäR সৌন্দৰ্য-তত্ত্ব। ব্ৰহ্মানন্দমুখ গোষ্পদতুল্য বোধ হয়। এই কথাই শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতে ” “ব্ৰহ্মানন্দ হৈতে পূর্ণানন্দ লীলারস। ব্ৰহ্মজ্ঞানী আকৰ্ষিয়া করে আত্মবিশ ৷ ব্ৰহ্মানন্দ হৈতে পুর্ণানন্দ কৃষ্ণগুণ। অতএব আকর্ষয়ে আত্মারামের মন ৷” মধ্যলীলা, সপ্তদশ পরিচ্ছেদ । এই পরম পুরুষ ভগবানরূপে সচ্চিদানন্দ বিগ্ৰহ। ভগবানের বিগ্ৰহ মুক্তিই সৌন্দর্ঘ্যের পর প্রকাশ। ইহা অনন্ত কোটি বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে প্রকাশিত সৌন্দৰ্য্যের ঘনীভূত মূৰ্ত্তি। ইহার তুল্য কিছু নাই, ইহা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কিছু নাই। এ মাধুৰী যে দেখিয়াছে সে মজিয়াছে, সে চিরকালের তরে নিজকে বিকাইয়াছে। আমরা ইতঃপূর্বে বলিয়াছি যে অঙ্গসমূহের যথোচিত সন্নিবেশই সৌন্দৰ্য্য। সুন্দর বস্তু অঙ্গসমূহের যথোচিত সন্নিবেশ দ্বারা আমাদের অন্তরে রস জাগায়। এই পরম পুরুষ প্ৰাকৃত উপকরণ সমূহের শৃঙ্খলা বিধান করেন বলিয়াই প্রাকৃত জগৎ মধুর, মনােমুগ্ধকর । এই পরম পুরুষ প্ৰাকৃত উপকরণের মধ্য দিয়া স্বীয় মাধুৰ্য্য প্ৰকাশ করেন বলিয়াই প্ৰাকৃত পদার্থ রসশালী। পরমেশ্বরই প্ৰাকৃত জগতের রচনা অৎসাক্ষাৎকারণাহাদবিশুদ্ধাৰিস্থিরত Cሻ ! serific citritcy artstepf ur scal হরিভক্তি সুখোদয় । ব্ৰহ্মানন্দো ভৰেদেব চেৎ পান্নার্জগুণীকৃতঃ। লৈতি ভক্তিমুখামুণে পরমাণুতুল্যামপি। ভক্তিরাসায়ুতসিন্ধু, পূর্ব বিভাগ, ১ম লহয়ী।