পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

as সৌন্দৰ্য-তত্ব শৃঙ্খলা দেগ্নিয়া অবাক হইতেছেন। বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের সর্বত্রই অল্পাধিক ঋরিমাণে শৃঙ্খলা, অন্ধসমূহের যথোচিত সন্নিবেশ পরিদৃষ্ট হয়। বিশেষম্বের চক্ষে দখিতে শিখ, দেখিবে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের সর্বত্রই শৃঙ্খলা, উপকরণসমূহের যথোচিত সন্নিবেশ, বিদ্যমান রহিয়াছে; এমন কি তুচ্ছ জড়কণার অঙ্গসমূহের যথোচিত সন্নিবেশ দেখিয়া বিশ্বশিল্পীর ভূয়সী প্ৰশংসা করিবে। ললিতকলার সৌন্দৰ্য্য প্ৰাকৃত সৌন্দৰ্য্য। ললিতকলা ভাবরসের রাজ্য -ভাবই ললিতকলার মূলতত্ত্ব। ভাব কথা দ্বারা পণ্ডিতগণ কোন অস্থায়ী সত্তাকে লক্ষ্য করেন নাই । ভাব স্থায়ী পদাৰ্থ । আলঙ্কারিকগণ ৯টি এবং ভক্তি-শাস্ত্রিকারগণ ১২টি ভাবের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। ললিতকলাতে প্ৰস্তর, বর্ণ, বাক্য প্ৰভৃতি স্থূল উপকরণের সাহায্যে আন্তরিক ভাবকে বাহিক মূৰ্ত্তি দেওয়া হয়। অন্য কথায় বলিতে গেলে ললিত কলাতে প্ৰাকৃত উপকরণের মধ্য দিয়া মানবের প্রতিভা, রসরাজ্যের বিকাশ করিয়া থাকে। প্ৰাকৃত উপকরণের সৌন্দৰ্য পরমেশ্বরের তেজোংশসস্তৃত। মানবের প্রতিভা তত্ত্বতঃ ভগবানেরই শক্তি। সুতরাং ললিতকলা তত্ত্বতঃ ভগবানেরই শক্তির প্রকাশ । প্ৰাকৃত জগৎ ছাড়িয়া প্ৰাকৃতাপ্ৰাকৃত সৌন্দৰ্য্যরাজ্যে উপনীত হওয়া থাক। ওঁথায় আমরা কি দেখিতে পাই? তথায়ও সেই এক বিধানই দেখা যায়। জীবসৌন্দৰ্য্য প্ৰাকৃতাপ্ৰাকৃত সৌন্দৰ্য্য। প্ৰাকৃত উপকরণের মধ্যে দিয়া জীব নিজ প্ৰভা, নিজ সৌন্দৰ্য্য বিস্তার করে। জীবসৌন্দৰ্য্যের প্রাকৃত দিক শক্তির কার্য্য-উহা ভগবানের তেজোংশসম্ভতে। জীবের অপ্রাকৃত দিক্‌-ভগবানের জীব শক্তির প্রকাশ। জীব সচিদানন্দ কণা, ভগবানের ভেদাভেদপ্ৰকাশ। এই জীবাশক্তি • প্ৰাকৃত উপকরণের মধ্য দিয়া প্ৰকাশ পায় বলিয়া জীব এত সুন্দর, জীব @ऊ बभूव ॥