পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৪ - সৌন্দৰ্য্য-তত্ত্ব । ” উপগ্রহ নিয়মিত পথে ঘুরিতেছে। এতদ্ব্যতীত বহু শৃংখ্যক ধূমকেতু । * উল্কাপুঞ্জ সুৰ্য্যের চারিদিকে ভ্রমণশীল। এই গ্রহ, উপগ্ৰহ, ধূমকেতু ওঁ উল্কাপুঞ্জে বেষ্টিত সুৰ্য্যকে লইয়া জগতের যে অংশ, তাহারই নাম সৌর জগৎ । সূৰ্য্য ইহার কেন্দ্ৰন্থ। বৃহস্পতি সকল গ্রহের বড় ; নেপচুন সর্বাপেক্ষা দুরন্থ, সূৰ্য্য হইতে নেপচুনের ব্যবধান পৃথিবীর ব্যবধানের f་རྒྱ་

  • * অ্যালয়পে চিন্তা করিলে দেখা যায় যে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড ত দুরের কথা, এই ক্ষুদ্র পৃথিবীর বৃহত্বই আমরা ধারণ করিতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম। পৃথিবীর কেন, পৃথিবীর সামান্য অংশ ভারতবর্ষেরও বৃহত্ব আমরা ভাৰিলে, ৰিহাবল হইয়া পড়ি। যিনি ত্ৰিভুবনের পতি যাহাকে অনন্ত বলিতেছি, তাহার সহিত তুলনায় এই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডও ত কিছুই নয়। এমন যে তিনি তাহার বিষয় মানুষের মত ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র জীব কিছুই জানিতে পারে না। প্ৰকৃত কথা এই যে ভগবানের অনন্তত্ব ধারণ করিবার শক্তি কোন মানবের নাই। ইহা বামন হইয়া চাদ ধরিবার ইচ্ছা মাত্র। মানব! তুমি চিন্তা করা না বলিয়া মনে করিতেছি যে অনন্তের উপাসনা হয়। অনন্তের উপাসনা কথার কথা মাত্র। প্ৰকৃত পক্ষে সান্তেরই উপাসনা হয়। যে বলে অনন্তের উপাসনা স্কুল, সে অনন্ত কি ভাবিয়া দেখে নাই। পরমেশ্বর সর্বাপেক্ষা বৃহৎ বলিয়া তাহার নাম “ব্ৰহ্ম”। নর-নারায়ণ অৰ্জ্জুন যখন ভগবানের বিশ্বরূপ দৰ্শন করিলেন, ভগবদকৃপায় ভগবানের অনন্তরূপ যখন তাহার হৃদয়ে প্ৰকাশিত হইল, তখন তিনি বিহবল হইয়া পড়িলেন । তাহার মনে বিশেষ ভীতির সঞ্চার হইল। - ভগবানের অনন্তত্ব ধারণ
  • শ্ৰীযুত স্নানুঅনুন্দয় ত্ৰিবেদী মহাশয়ের “প্ৰকৃতি” নামক গ্রন্থ হইতে উদ্ভূত। t Cf. Burke: "Indeed, terror is in all cases whatsoever, either