পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ ] জ্যোতিৰ্ম্ময় আবরণ দ্বারা সত্যস্বরূপের মুখ আবৃত রহিয়াছে । জগৎপোষক সত্যধৰ্ম্মানুষ্ঠানশীল আমার সাক্ষাৎকারের নিমিত্ত তাহা উন্মে চন কর। হে জগৎপোষক, হে মুখ্যজ্ঞান, হে সৰ্ব্বসংযমনশীল, { জ্যোতিঃস্বরূপ, হে প্ৰাজাপত্য, তোমার রশ্মিসমূহ সংযত কর, তোমার তে উপসংহার কর । তোমার যে অতি মধুর রূপ, তাহা আমি তোমা প্ৰসাদে সন্দর্শন করি । যিনি সর্বব্যাপী, বৃহৎ, ভক্তের সৌন্দৰ্য্যপিপাসা মিটাইবার জন্য তিনি পরিচ্ছিন্ন সচিদানন্দবিগ্ৰহরূপে প্ৰকট হন । মানুষ যে রূপ অনায়া;ে ধরিতে পারে, ছুইতে পারে সেইরূপে দর্শন না দিলে মানুষ বিশ্বরূপবে ধরিতে পরিবে কেন ? পরমেশ্বরের বৃহত্ত্ব, ঐশ্বৰ্য্য, প্ৰকৃত সৌন্দৰ্য্যবোধের বিরোধী । অনায়াসে অধিগম্য গঠনের সহিত সৌন্দৰ্য্যের সম্পর্ক এই কথা কতিপয় প্ৰবীণ পাশ্চাত্য দার্শনিকও বলিয়াছেন । বেদ হইতে আরম্ভ করিয়া সমুদয় ঋষিশাস্ত্ৰে এই কথা স্পষ্টভাবে ঘোষিত হইয়াছে। আমরা গ্রন্থের শেষভাগে এই তত্ত্ব যথাসাধ্য ব্যাখ্যা করিতে চেষ্টা পাইब्रांछि । ইংলণ্ডে সাধারণতঃ সৌন্দৰ্য্যবিজ্ঞানকে মনোবিজ্ঞান বা শারীরবিজ্ঞানের ংশরূপে গ্ৰহণ করিয়া উহার আলোচনা হইয়াছে । তাহার ফলে সৌন্দৰ্য্য মানসিক অবস্থা বলিয়া ব্যাখ্যাত হইয়াছে। পক্ষান্তরে জাৰ্ম্মণি, ফ্রান্স প্ৰভৃতি দেশে সাধারণতঃ সৌন্দৰ্য্যবিজ্ঞানকে দর্শনশাস্ত্রের অংশরূপে গ্ৰহণ করিয়া উহার আলোচনা হইয়াছে। তাহার ফলে সৌন্দর্ঘ্যের বস্তুগত অস্তিত্ব স্বীকার করা হইয়াছে। ফিক্‌টে, সেলিঙ, হিগেল, সোপেনহর, দিভেক, কুৰ্জ্য, রেভাইসন প্ৰভৃতি অধিকাংশ প্ৰবীণ প্ৰাচ্য দার্শনিকই সৌন্দৰ্য্যের বস্তুগত বাহ অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন। আমরাও বৰ্ত্তমান গ্রন্থে সৌন্দৰ্য্য শুধু আমাদের মানসিক অবস্থা নহে, উহার বস্তুগত