পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V সৌন্দৰ্য্য-তত্ত্ব । গ্ৰহণ করার অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়াছেন । কোন কোন জীবতাত্ত্বিক পণ্ডিত সৌন্দৰ্য্যম্পুহাকে জাতীয় অভিব্যক্তির একটা আকস্মিক আগন্তুক*P6 (bye-product of evolution) Kfir (JT (fict 23rt পাইয়াছেন। প্ৰাকৃতিক নির্বাচনে জীবন রক্ষার অনুকুল বিবিধ ধৰ্ম্মের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এমন দুই একটা ধৰ্ম্মের উৎপত্তি হয়, যাহার জীবনে কোন উপযোগিতা নাই। এই সকল আগন্তুক পরিবর্তন জীবনরক্ষার অনুকুল না ও হইতে পারে। সৌন্দৰ্য্যপৃহা জাতীয় অভিব্যক্তির এই শ্রেণীর একটা আকস্মিক আগন্তুক ফল মাত্র । তদুত্তরে ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, আকস্মিকভাবে কোন বিষয়ের উৎপত্তি-ব্যাখ্যা কখনই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বলিয়া গ্ৰহণ করা যাইতে পারে না । স্পেনসার বলেন,-মনুষ্য আদিম অবস্থায় তাহদের বৃত্তির ব্যবহার জানে না। তাই তাহদের শক্তি সঞ্চিত থাকে। সঞ্চিত শক্তির প্রকাশ অবশ্যম্ভাবী। মনোবৃত্তির ব্যবহার হইতে আনন্দের উৎপত্তি হয়। এই আনন্দ স্মৃতি-সাহচর্য্যের নিয়মের (Laws of association of Ideas) Tikt(*U t|3is s °if3<fá\5 হইয়া সৌন্দৰ্য্যজ আনন্দরূপে পরিণত হয়। জেমস সালি যথার্থই বলিয়াছেন, এই মত দ্বারা বর্ণ ও স্বরের প্রতি মানবের স্বাভাবিক অনুরাগের উৎপত্তি কোন প্রকারেই ব্যাখ্যাত হইতে পারে না । * কোন কোন পণ্ডিত বলেন সৌন্দৰ্য্যম্পুহা স্বাভাবিক। কিন্তু সৌন্দৰ্য্যাম্প্রহর বর্তমান স্বাভাবিকত্ব পূৰ্বপুরুষগণের পৌনঃপুনিক অভিজ্ঞতার সঞ্চারিত ফল মাত্র। মানবের পূর্বপুরুষগণের কোন অভিজ্ঞতার ফলে এই সৌন্দৰ্য্যপৃহার উৎপত্তি হইল-ৰ্তাহারা প্ৰদৰ্শন করেন নাই। পুর্বেই দেখান হইয়াছে যে, প্ৰসিদ্ধ বিবৰ্ত্তনবাদিগণ সৌন্দৰ্য্যাম্প্রহর উৎপত্তি ব্যাখ্যা করিতে অসমর্থ Vide Vamtes Sully’s article on - 4esthetics in Encyclopóedia Britannica.