পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 cलोन्लर्ष7-डख । নহে। সৌন্দৰ্য্যের মধ্যে যে মুক্তভাব, সচলভাব, গা-ঢালাভাব দেখিতে পাওয়া যায়—উহা দ্বারা তাহার ব্যাখ্যা হয় না । উৎকৃষ্ট ছবির সৌন্দৰ্য্য, কবিতা-পদের সৌন্দৰ্য্য, উচ্চভাবের কোন একটা গীতি-সৌন্দৰ্য্য নিয়ম-পরিমাণের উপর নির্ভর করে না। একত্ব সৌন্দৰ্য্যের একটা বৃহৎ অংশ ; কিন্তু সৌন্দৰ্য্যের সমস্ত অংশ নহে। তাহার মতে একতা ও বিচিত্ৰত— সৌন্দর্য্যের দুইটি অবশ্যম্ভাবী উপাদান। তিনি সৌন্দৰ্য্যকে ভৌতিক, মানসিক ও নৈতিক—এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছেন। জড় পদার্গ কোন প্রকার ভাব বা ভাবাৰ্থ (প্ৰকাশ করে বলিয়া সুন্দর। মনুষ্যের মুখের মত প্ৰকৃতির মুখে 3 ভাবের প্রকাশ দেখিতে পাওয়া যায় । শিল্পকলা মানবের আধাত্মিক ভাব প্ৰকাশ করে বলিয়া সুন্দর। কি মনুষ্যমূৰ্ত্তি, কি হােতর প্রাণীর মূৰ্ত্তি, ভাবের প্রকাশেই উহাকে সুন্দর দেখায় । “কোন আকৃতিই একক থাকিতে পারে না, উহা কোন না কোন পদার্থেরই আকৃতি । অতএব ভৌতিক সৌন্দৰ্য্য কোন আভ্যন্তরিক সৌন্দর্যেরই নিদর্শন। উতাই আধ্যাত্মিক ও নৈতিক সৌন্দৰ্য ; এবং উহাই সৌন্দর্ঘ্যের ভিত্তি, সৌন্দৰ্য্যোব ঐক্য-সুত্র।” বাস্তব সৌন্দৰ্য্যের উপরে আর এক শ্রেণীর সৌন্দৰ্য আছে— সেটি মনোগত আদশ-সৌন্দর্ঘ্য। আদর্শ-সৌন্দৰ্য্য,কোন ব্যক্তি বিশেষে কিংবা ব্যক্তিসমূহের মধ্যে অবস্থিতি করে না। আদর্শ-সৌন্দৰ্য আমাদের বহুদৰ্শিতার ফল নহে। উহা অপেক্ষা সুন্দরতম আমরা কিছুই কল্পনা করিতে পারি, না ; প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য এই পরম সৌন্দৰ্য্যের নকল বলিয়া মনে হয়। এই ধ্রুব আদর্শটি, পূর্ণ আদর্শটি স্বয়ং ঈশ্বর ভিন্ন কিছুই নহে। যেহেতু ঈশ্বর সকল পদার্থেরই মূলতত্ত্ব, অতএব সেই অধিকার-সুত্রে তিনি পূর্ণসৌন্দৰ্য্যেরও মূলতত্ত্ব ; সুতরাং নুনাধিক অপুর্ণভাবে যে পদার্থেই সৌন্দৰ্য্য প্ৰকাশ পায়, সেই সমস্ত প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যেরও তিনি মূলতত্ত্ব ; তিনি