পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o 6नोन्णी-उख्र মতে বৈচিত্র্যের মধ্যে একত্বই ( unifornity amidst variety ) সৌন্দয্যের আকৃতি। প্ৰজ্ঞা ( reason ) দ্বারা সৌন্দৰ্য্য কি, বুঝা যায় না। সৌন্দৰ্য্যবোধের জন্য আমাদের একটি স্বতন্ত্র আন্তরিকবৃত্তি ( internal sense ) আছে। এই বৃত্তিদ্বারা আমরা সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান লাভ করি। হাচিসন সৌন্দৰ্য্য দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেননিরপেক্ষ (absolute or original ) ak TiC** ( relative or. comparative ) । নিরপেক্ষ সৌন্দৰ্য্য কোন বস্তুবিশেষের অনুকরণ বা সাদৃশ্য জ্ঞাপন করে না। পক্ষান্তরে অনুকরণই সাপেক্ষ সৌন্দৰ্য্যের জীবন ; সাপেক্ষ সৌন্দৰ্য্য অনুকরণের উপরই নির্ভর করে। জীবসৌন্দৰ্য্য প্ৰথম শ্রেণীর সৌন্দৰ্য্যের উদাহরণ ; কলার সৌন্দৰ্য্য দ্বিতীয় শ্রেণীর সৌন্দর্ঘ্যের উদাহরণ। র্তাহার মতে, নিৰ্ম্মিতজিনিস মূল আদর্শ হইতে সুন্দর হইতে পারে। তিনি সৌন্দৰ্য্যের কয়েকটি বিশেষত্বের কথা উল্লেখ করিয়াছেন ( ১ ) সৌন্দৰ্য্য আমাদিগকে অনপেক্ষ ( Immediate ) সুখ প্ৰদান করে। প্রয়োজনীয়ত, উপযোগিতা কি হিতকারিতার সহিত সৌন্দর্যের কোন সংশ্ৰব নাই । ( ২ ) সুন্দর জিনিস আমরা অপরিহাৰ্য্যরূপে সুন্দর বলিয়া বোধ করি । ইচ্ছা করি বা না করি, সুন্দর জিনিস সৰ্ব্বদাই সুন্দর। (৩) আমাদের সৌন্দৰ্য্যবোধ সাৰ্ব্বভৌমিক ! জ্ঞান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বৈচিত্রোর একত্ব ভালবাসে। ইহা হইতে বুঝা যায় যে আমাদের সৌন্দৰ্য্যবোধ সার্বভৌমিক। তিনি আরও বলেন, মৌলিক অনুভব রাশি ( বর্ণ, স্বর ইত্যাদি) আমাদের সৌন্দৰ্য্যবোধের উৎপত্তি-কারণ নহে। অভ্যাস ( Custom ) এবং শিক্ষা ( education ) দ্বারা আমাদের সৌন্দৰ্য্যবোধ মার্জিত ও উজ্জ্বল হয় বটে, কিন্তু তাহারা সৌন্দৰ্য্যবোধের উৎপত্তি-কারণ न्म८श् ।