পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম শ্রেণীর দার্শনিকৃগণের 本5日 80 Ser timent ) মৌলিক বৃত্তি । ইহা অনুভব রাশির সংযোগে উৎপন্ন হয় নাই। হামিলটন বলেন, সৌন্দৰ্য্যজ আনন্দ হইতে অন্যান্য শ্রেণীর সুখ পৃথক্ জিনিস । Ruskin. :-রাসকিন সমস্ত সৌন্দৰ্য্য ভগবদ স্বরূপের অভিব্যক্তি বলিয়া ব্যাখ্যা করিতে চেষ্টা পাইয়াছেন। রাসকিন মানবীয় দুইটী বৃত্তির কথা উল্লেখ করিয়াছেন—ঔপপত্তিক ( theoretic ) এবং কাল্পনিক (Imaginative ) ŠosofSF fS Kfz QfNCM JfS \s সৌন্দর্য্যের জ্ঞান জন্মে। কাল্পনিক বৃত্তি প্ৰকৃতিলন্ধ সমুদয় ভাবনারাশিকে ( Ideas ) একত্ৰ সংযোজিত করে । ঔপপত্তিক বৃত্তি ইন্দ্ৰিয়বোধ হইতে স্বতন্ত্র জিনিস। ঔপপত্তিক বৃত্তির বিষয় সৌন্দৰ্য্য। সৌন্দৰ্য্য দুই শ্রেণীতে বিভক্ত-সাদৃশ্য জ্ঞাপক বা রূপক ( typical ) এবং সজীব অথবা জীবনীশক্তি জ্ঞাপক ( vital ) ৷ প্ৰথম শ্রেণীর সৌন্দৰ্য্য বাহা বস্তুর 'গুণ বা ধৰ্ম্ম । বাহ্য বস্তুর প্রত্যেক গুণাই ভগবানের কোন না কোন স্বরূপ প্ৰকাশক। রূপক সৌন্দৰ্য্যের নিম্নলিখিত কয়েকটি আকৃতি ( form ) আছে :- ( ১ ) অনন্তত্ব ( Infinity)-ইহা ভগবানের অজ্ঞেয়তার নিদর্শন । (২) একত্ব ( Unity)-ইহা ভগবানের সর্বব্যাপকত্ব-প্ৰকাশক । (৩) স্থিতি ( Repose )—ইহা ভগবানের নিত্যত্ব-প্ৰকাশক । ( ৪ ) সম পরিমিতত্ব (Symmetry )-ইহা ভগবানের ন্যায়পরতার নিদর্শন । স্বনামধন্য বঙ্কিমচন্দ্র এই বৃত্তির ‘চিত্তরঞ্জনী বৃত্তি" নাম দিয়াছেন। যাহারা সৌন্দর্ঘ্যের ভাবের দিক উপেক্ষা করিয়া জ্ঞানৈর দিকে বেশী লক্ষ্য করেন, তঁাহারা”এই বৃত্তির নাম সৌন্দৰ্য্যবোধ বা সৌন্দৰ্য্য,বুদ্ধি দিয়া থাকেন।