পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় শ্রেণীর ইংরাজ-দার্শনিকগণের মত। (ζΣ রূপ, তাহার বংশ রক্ষার পক্ষে ততই সুবিধা । তাই প্ৰকৃতি সুন্দর ফুলের ক্ৰমশঃ অভিব্যক্তি করিয়াছেন। পক্ষান্তরে প্রজাপতি শত্রুর আক্ৰমণ হইতে আত্মরক্ষা করার জন্য “ফুলের গায়ে গা দিয়া, ফুলের সঙ্গে মিশিয়া, ফুলের রূপের ভিতর নিজকে লুকাইয়া শক্রকে ফাঁকি দিয়া কথঞ্চিৎ আত্মরক্ষা করে।” প্ৰজাপতির দেহ কোমল ও সুন্দর না হইলে প্ৰজাপতি ফুলের ভিতর লুকাইয়া আত্মরক্ষা করিতে পারিত না। তাই প্ৰকৃতি প্ৰজাপতির দেহকে পুষ্পের উপযোগী করিয়া সুন্দর করিয়াছেন । সুতরাং এক হিসাবে প্ৰজাপতির স্রষ্টা ফুল ও ফুলের স্রষ্টা প্ৰজাপতি । ডারুইন সমস্ত সুন্দর জিনিসের উৎপত্তি প্ৰাকৃতিক নির্বাচন দ্বারা ব্যাখ্যা করিতে অসমর্থ হইয়া যৌন নিৰ্ব্বাচনের আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছেন । তিনি বলেন, সৌন্দৰ্য্যপ্রিয়তা সাধারণ জীব-ধৰ্ম্ম । বিহগের সৌন্দৰ্য্যের প্রতি অনুরাগ আছে বলিয়া বিহগী সুন্দর হইয়াছে। ময়ুরের সৌন্দর্ঘ্যের প্ৰতি অনুরাগ আছে বলিয়া প্ৰকৃতি ময়ুরীকে সুন্দর করিয়াছেন। চম্পকঅঙ্গুলি ও খঞ্জন-নয়নের প্রতি পুরুষের আকস্মিক অনুরাগ থাকায়, নারীজাতি চম্পক-অঙ্গুলি ও খঞ্জন-নয়নের অধিকারিণী হইয়াছেন। ডারুইন স্বীকার করিয়াছেন যে, সৌন্দৰ্য্যস্পৃহা জীবনসংগ্রামে কোনরূপ আনুকূল্য করে না । যখন সৌন্দৰ্য্যাম্পূহ জাতীয়জীবন অথবা ব্যক্তিগত জীবন রক্ষার কোনরূপ সহায়তা করে না, তখন প্ৰাকৃতিক নির্বাচনে কি যৌননির্বাচনে ইহার উৎপত্তি হইয়াছে কোন প্রকারে বলা যাইতে পারে না । তাই সম্ভবতঃ প্ৰাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনবাদের অন্যতর প্ৰবৰ্ত্তক আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেশ নিরাশ হইয়া বলিয়াছেন ‘সৌন্দৰ্য্যবোধের উৎপত্তির ব্যাখ্যা প্ৰাকৃতিক নির্বাচন কি যৌননির্বাচনে নাই।” সৌন্দৰ্য্যবোধ মানবত্বের প্রধান লক্ষণ। সুতরাং পূর্ণ মানবত্ব প্রাকৃতিক অভিব্যক্তির ফল, ইহা বলিতে তিনি সস্কুচিত হইয়াছেন। কোন অতি