পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७ ] কথার দ্বারা প্ৰকাশ করা হইয়াছে ; প্ৰকৃতির সৌন্দৰ্য্য, শোভা-ঔজ্জ্বল্য কথার দ্বারা প্ৰকাশ করা হইয়াছে। তঁহাদের সৌন্দর্ঘ্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবতার নাম—শ্ৰী ও লক্ষ্মী ; কিন্তু তাহারা পরবত্তী সময়ে কল্পিত হইয়াছে । উক্ত দেবতাদ্বয় প্ৰকৃত সৌন্দৰ্য্য অপেক্ষা সুখের ভাবই অধিক প্ৰকাশ করে। সৌন্দৰ্যবোধের পক্ষে কি কি আবশ্যক। এই শ্রেণীর নিষেধাত্মক সাক্ষ্য হইতে বুঝা যায়। কিন্তু ইহাৰ আশ্চর্য্যের বিষয় যে যে হিন্দুজাতি সূক্ষ্মতম গবেষণার জন্য প্ৰসিদ্ধ, তাহারা তঁহাদের সৌন্দৰ্যবিষয়ক মত সুত্রাকারে প্রকাশ করিয়া যান নাই । প্রফেসার নাইট প্রফেসার মেক্সমুলারের মতই অনুসরণ করিয়া ছেন। প্রফেসার নাইট বলেন,— 'It is perhaps the more remarkable that it should not have awakened earlier in India, when we remember that almost all the distinctive types of philosophical thought had sprung up, that a monistic as well as a dualistic conception of the world prevailed alongside of the popular polytheism and nature-worship. But there is scarcely a trace of a feeling for the Beautiful in the Brahmanical or Bhuddhist ror writings.' Arof. A night's Ahalosophy of the Beautiful Vol I. নাইটের কথার ভাবাৰ্থ এই যে সৌন্দৰ্য্যবিজ্ঞান প্ৰাচীন ভারতে উন্মিষিত না হওয়া বিস্ময়াবহ ব্যাপার। অদ্বৈতবাদ, দ্বৈতবাদ, বহুদেবতাবাদ, প্ৰকৃতির উপাসনাবাদ প্ৰভৃতি অধিকাংশ উল্লেখযোগ্য দার্শনিক মত প্ৰাচীন ভারতে জন্মগ্রহণ করিয়াছে। কিন্তু ব্ৰাহ্মণ্য কি বৌদ্ধগ্রন্থে সৌন্দৰ্য্যাম্প্রহার চিহ্নমােত্রও পাওয়া যায় না। পূৰ্ব্বোস্তৃত পণ্ডিতদ্বয়ের মত আমাদের নিকট সমীচীন বলিয়া বােধ