পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VN সৌন্দৰ্য্য-তত্ত্ব। তমেব ভান্তমনুভাতি সৰ্ব্বং, , তস্য ভাসা সৰ্ব্বমিদং বিভাতি ৷৷ ১৫ ৷৷ विडीघ्र अक्षाघ्र, २न दक्षी। সেই স্বপ্ৰকাশ ভগবানের প্রকাশেই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড প্ৰকাশ পাইয়া থাকে, সুৰ্য্য প্ৰভৃতি তেজোজাতের প্রভা ভগবানেরই প্ৰভা ৷ এক্ষণ মূল বিষয়ের অবতারণা করা যাক। ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্র ও ভক্তিশাস্ত্রে “রসতত্ত্ব” আলোচিত হইয়াছে। কাব্যপ্ৰকাশ, কাব্যাদশ, কাব্যপ্ৰদীপ, সাহিত্যদর্পণ প্রভৃতি অলঙ্কারশাস্ত্ৰে কাব্যের সৌন্দৰ্য্য বিস্তারিতরূপে আলোচিত হইয়াছে। “ভক্তিরাসামৃত সিন্ধু” “উজ্জ্বল নীলমণি” প্রভৃতি বৈষ্ণব গ্রন্থে ভগবদ সৌন্দৰ্য্য সম্বন্ধে আলোচনা পরিদৃষ্ট হয় । আমরা প্রথমতঃ আলঙ্কারিকগণের মত আলোচনা করিয়া পরে শ্ৰীমদূগোস্বামিপাদগণের মতের সারাংশ পাঠকবর্গকে উপহার দিব । আমাদের দেশায় আলঙ্কারিকগণ বলেন রসই কাব্যের জীবন । রস ব্যতীত কাব্য অসম্ভব । অগ্নিপুরাণ বলেন,- “বাগ্নৈদগ্ধ্যাপ্রধানেহপি রস এবাত্র জীবিতম।” সাহিত্যদর্পণ ধূত অগ্নিপুরাণ বচন । কাব্যে বাক্যের বিচিত্ৰতা প্ৰধান হইলেও রসই তাহার জীবন । সাহিত্যদর্পণে আছে,- তোমা পানে চাহি সকলে সুন্দর, রূপ হেরি আকুল অন্তর তোমারে ঘেরিয়া ফিরে নিরন্তর, তোমার প্ৰেম চাহি ; উঠে সঙ্গীত তোমার পানে, গগণ পূর্ণ প্ৰেমগানে, তোমার চরণ করেছে। বরণ নিখিল জন ৷”