পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/১২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৮)

বাগানের গাছ পালা খাইবে এবং চরিতে চরিতে যদি ভুলক্রমে ষাঁড়ের সম্মুখে উপস্থিত হয়, তাহা হইলে ষাঁড়কেও খেপাইয়া তুলিবে এবং ষাঁড়ও গাভী দর্শন করিয়া বন্ধন ছিঁড়িবার উপক্রম করিবে ও অজ্ঞানে অন্ধ হইয়া নিজের ও অপরের অনিষ্ট করিবে। সুতরাং বন্ধন যাহাতে দৃঢ় থাকে, তাহার চেষ্টা সকলেই করিয়া থাকেন। মনে করুন, আমি যখন ষাঁড়বিশেষ, কোন কাণ্ডাকাণ্ড জ্ঞান নাই এবং আমার গৃহিণী ও গাভীবিশেষ তাহারও কোন জ্ঞান নাই, চঞ্চল প্রকৃতি, নিজের ইষ্টানিষ্ট বুঝেনা, তখন আমাদের সামাজিক বন্ধনের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না? কেহ যদি ঘাসের সহিত বিষ মাখাইয়া দেয়, লোভের বশীভূত হইয়া গাভী যেমন তৎক্ষণাৎ সেই ঘাস ভক্ষণ করিয়া পরে বিষের জ্বালায় শেষে ছট্‌ ফট্‌ করিয়া মরে, তদ্রূপ আমিও যদি অজ্ঞানে বিষমিশ্রিত তৃণবৎ ভোগলালসা চরিতার্থ করি তাহা হইলে আমাকেও সেই রূপে ছট্‌ ফট্‌ করিয়া মরিতে হইবে। সুতরাং এরূপ অবস্থায় গাভীরূপা স্ত্রীকে বা বৃষরূপী আমাকে স্বাধীনতা দেওয়া যায় কি না? এস্থলে, বোধ হয়, বুদ্ধিমান্‌ মাত্রেই বলিবেন বন্ধনাবস্থাই আবশ্যক। কারণ পশুভাবাপন্ন জীবকে স্বাধীনতা দিলে অনিষ্ট ব্যতীত ইষ্টের আশা কখনই করা য়াইতে পারে না। অপাত্রে স্বাধীনতারূপ রত্ন দান করিলে সে রত্নের গৌরব আর থাকিবে না। স্বাধীনতার দ্বারা অনিষ্ট হইতে দেখিলে ভবিষ্যতে আর কেহ স্বাধীনতালাভের জন্য চেষ্টা করিবে না এবং ক্রমে ‘স্বাধীনতা’ এই শব্দেরও লোপ হইয়া যাইবে। ইহা অপেক্ষা আর আক্ষেপের বিষয় কি আছে। তবে