পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/২৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(২২)

ভিন্ন ইষ্টের সম্ভাবনা কোথায়? যে বিদ্যার দ্বারা ইন্দ্রিয়সংযম বা মনের শান্তি হয় না, তদ্দ্বারা কেবল ব্যভিচারের পথ প্রশস্ত করা হয় মাত্র। তবে অর্থাগমের অনুরোধে যাঁহারা অপরা বিদ্যার অভ্যাস করিতেছেন, করুন, কিন্তু তাই বলিয়াই যে আত্মধর্ম্ম বিসর্জ্জন দিতে হইবে তাহারও কোন কারণ নাই। স্ত্রীজাতিকে যে অর্থাগমের জন্য অপরা বিদ্যা শিক্ষা দিতে হইবে তাহা নিতান্ত ভ্রান্তিমূলক। স্ত্রীজাতির দ্বারা অর্থাগমের প্রত্যাশা করা নিতান্ত নীচ অন্তঃকরণের পরিচয় দেওয়া মাত্র। উচ্চ শিক্ষার প্রভাবে আমি ত দাসত্বরূপ লৌহশৃঙ্খলে বদ্ধ হইয়াছি। আমার সহিত জননীরূপা নারী-জাতিকে দাসীরূপে নিযুক্ত করি কেন? জননী, স্ত্রী বা ভগিনী দাসী হইলে পুত্রের স্বামীর বা ভ্রাতার পক্ষে ইহা আনন্দের বিষয় না হইয়া বরং অনুতাপেরই বিষয় হওয়া উচিত। হায়! আজ কালের কি বিচিত্র লীলা! ভাল বিষয় মন্দ বলিয়া, আর মন্দ বিষয় ভাল বলিয়া পরিগণিত হইতেছে। অরুচিকর বিষয় লইয়া আনন্দ করিতেছি আর রুচিকর বিষয় পরিত্যাগ করিয়া আস্ফালন করিতেছি। হায়! হায়! বর্ত্তমান শিক্ষার কি মহিমা! শিক্ষার গুণে কেমন উন্নতি লাভ করিয়াছি! একটু স্থিরভাবে বিবেচনা করিলেই দেখিতে পাওয়া যায় যে, আমরা যাহাকে উন্নতি মনে করিতেছি তাহা বাস্তবিক আমাদের দেশের অবনতির সোপানস্বরূপ। কারণ, আত্মবিদ্যা (পরাবিদ্যা) ব্যতীত অবিদ্যার দ্বারা কখন উন্নতি লাভ হইতে পারে না। মনের উন্নত অবস্থা লাভ করাকেই প্রকৃত উন্নতি লাভ কহা যায়। আত্মবিদ্যা সাধনসাপেক্ষ, সাধন ব্যতীত আত্মবিদ্যা লাভ হয় না। কেবল আত্মা আত্মা করিলে অথবা