পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/২৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(২৪)

দূর হইবে। ইচ্ছা থাকিতে অভাব দূর হইবে না। ইচ্ছার নাশে অভাবের নাশ—ইচ্ছা সত্ত্বে অভাবের নাশ নাই। এক্ষণে ইচ্ছার নাশ হয় কিসে তাহাই দেখা যাউক। প্রথমতঃ দেখা যাউক ইচ্ছার উৎপত্তি কোথায়? ইচ্ছার আর একটী নাম রতি। মন ইন্দ্রিয়ে আসক্ত হইলেই ইচ্ছার উৎপত্তি হয়। যদি এরূপ বলা যায় যে, মন ইন্দ্রিয়ে যায় কেন, এবং মনই বা কোথা হইতে হইতেছে ও মনের উৎপত্তিই বা কোথায়? এই মনের উৎপত্তি প্রাণ হইতে অর্থাৎ প্রাণের চঞ্চলতায় যে অবস্থা হয়, তাহাই সঙ্কল্পবিকল্পাত্মক মন। প্রাণ স্থির হইলে মনঃস্থির হয়, সেই স্থির মনই আত্মা। আত্মাই চঞ্চল ভাবাপন্ন হইয়া সঙ্কল্পবিকল্পাত্মক মন উপাধি ধারণ করায় আত্মবিস্মৃত হইয়াছেন। আত্মবিস্তৃত হইয়া ইন্দ্রিয়ে আসক্ত হওয়ায় ইচ্ছার উৎপত্তি হইতেছে। এই ইচ্ছার সত্ত্ব থাকিতে অভাবের নাশ কি রূপে হইবে? অভাব দূর করিতে হইলে যেখান হইতে উহার উৎপত্তি হইয়াছে পুনরায় সেখানে গেলে অর্থাৎ প্রাণে লক্ষ্য রাখিলে অভাবের নিবৃত্তি হইতে পারে—নচেৎ নহে। ভাবের উদয়ে অভাবের নাশ। পূর্ব্বে বলা হইয়াছে, ইচ্ছার নাশে অভাবের নাশ হইয়া থাকে, এক্ষণে দেখা যাউক, ইচ্ছার নাশ কখন হয়? না মরিলে ইচ্ছার নাশ হয় না। শবদেহে যেমন বায়ুর চঞ্চলতা থাকে না অর্থাৎ স্থিরভাব হয় তদ্রূপ জীবদ্দশায় দেহস্থিত বায়ুর বিনাবরোধে স্থিরত্ব সাধিত হইলে যে ভাব হয় সেই ভাবের উদয়েই ইচ্ছা ও অভাবের নাশ হয়। ইহা কর্ম্মযোগসাপেক্ষ। ভাব একটা অবস্থাবিশেষ অর্থাৎ যে অবস্থায় চঞ্চলতা থাকে না। আত্মার সেই স্থিরাবস্থাকেই ভাব কহে। তাহাই