পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ওঁ নমঃ শ্রীগুরবে নমঃ—
স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা।

 হিন্দুসন্তানমাত্রেই স্ত্রী জাতির সম্মান করিয়া থাকেন, এমন কি এখনও কুমারীপূজা ও সধবাপূজা অনেক স্থলেই প্রচলিত দেখা যায়। শাস্ত্রে ও পত্নীব্যতীত অপর স্ত্রী মাত্রকেই জননীর ন্যায় জ্ঞান করিতে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন। অনেকেই বোধ হয় অবগত আছেন যে, আনুষ্ঠানিক হিন্দু সাধকগণ শাস্ত্রের ঐ মহাবাক্য পালন করিবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিয়া থাকেন। ইহা হিন্দুর গৌরবের বা পরিচয় দিবার কথা নহে, ইহা হিন্দু সন্তানের কর্ত্তব্য কর্ম্ম। কিন্তু উপস্থিত কালে সব বিপরীত, পুত্রের জননীর প্রতি ভক্তি নাই, জননীরও পুত্রের প্রতি তাদৃশ স্নেহ নাই। এমন অবস্থায় স্ত্রীজাতিমাত্রকেই জননী জ্ঞানকরা নিতান্ত অসম্ভব। যাঁহা হইতে আমরা এই শরীর লাভ করিয়াছি, যাঁহার দ্বারা এই জগৎ দেখিয়াছি, তাঁহাকেই যখন ভক্তি করিতে ভুলিয়া গিয়াছি, তখন স্ত্রীজাতি মাত্রকেই জননী জ্ঞান করা কি রূপে সম্ভবে? এমত অবস্থায় স্ত্রীস্বাধীনতা চলিতে পারে কিনা, তাহাই আলোচনা করা যাউক। প্রথমতঃ দেখা যাউক প্রাচীন কালে ভারতবর্ষে স্ত্রীস্বাধীনতা প্রচলিত ছিল কিনা।