পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৩)

অর্থই করা যায়, তাহা হইলে পশুপক্ষীতে আর আমাতে প্রভেদ কি? পশুপক্ষীদেরও ক্ষুধা বোধ হইলে আহার করিয়া থাকে, কেহ তাড়া দিলে ভয়ে পলাইয়া থাকে, নিদ্রাও গিয়া থাকে, কামের উদ্ভব হইলে ইন্দ্রিয়চরিতার্থও করিয়া থাকে। এমন স্থলে পশুতে ও আমাতে কিছুই প্রভেদ নাই, প্রভেদ কেবল মাত্র আকারে। আমি না হয় দ্বিপদ পশু, আর সে না হয় চতুষ্পদ, এই মাত্র। যদি ঐ সকল গুণ ছাড়া আমার অপর কোন গুণ থাকে, তাহা হইলেই আমি মনুষ্যপদ বাচ্য; নতুবা আমিও ঐরূপ পশু। সেই অপর গুণ কি যাহা পশুদিগের নাই এবং হইতে ও পারে না? তাহা একমাত্র আত্মজ্ঞান। সেই আত্মজ্ঞানই পশুজীবনে সম্ভবে না এবং উহাই মনুষ্যের মনুষ্যত্ব। যতদিন আমরা উহা লাভ করিতে না পারি, ততদিন আমরা মনুষ্যপদ বাচ্য হইতে পারি না। তবে কেবল অহঙ্কারে মত্ত হইয়া জোর করিয়া আপনাকে মনুষ্য বলিয়া থাকি। যখন আমার আত্মজ্ঞান লাভ হইবে, তখনই আমার স্বাধীন শব্দের যথার্থ অর্থ বোধ হইবে। নতুবা আমি ইন্দ্রিয়ের দাস। এরূপ অবস্থায় আমি কিরূপে স্বাধীনতা লাভ করিব? ইহা প্রকৃত স্বাধীনতা নহে, ইন্দ্রিয়পরিতৃপ্তির জন্য স্বেচ্ছাচারিতামাত্র,—স্বাধীনতার ভাণ মাত্র। ইন্দ্রিয়সংযম ব্যতীত প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করা যায় না। অগ্রে যাহাতে ইন্দ্রিয় সংযম হয় তাহার উপায় করা উচিত, নচেৎ একেবারেই স্ত্রীস্বাধীনতা দিবার জন্য ব্যস্ত হইলে চলিবে কেন? যে পথে ব্যভিচারের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা, সে পথে আমাদিগের জননীরূপা সরলহদয়া স্ত্রীজাতিকে