পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৩৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
কান্যকুব্জের চতুষ্পাঠী।
৩১

কাব্য নাটকাদির গুণাগুণও এই চতুষ্পাঠীতে বিচারিত হইয়া থাকে। এখানকার একটী ছাত্র সম্প্রতি একখানি গ্রন্থ লিখিয়া সপ্রমাণ করিয়াছেন যে, জর্ম্মণ, গ্রীক, এবং হিন্দু—তিনটি জাতিই এক মূল জাতি হইতে সমুৎপন্ন। আর একটী ছাত্র একখানি গ্রন্থ লিখিতেছেন; ঐ গ্রন্থ এখনও শেষ হয় নাই। তাহার উদ্দেশ্য এই যে, জেন্দভাষার সহিত কাল্ডীয় এবং হিব্রু ভাষার সংযোগ সপ্রমাণ করিয়া পারসীক আবেষ্টা এবং য়িহুদীয় বাইবেলের পরস্পর একান্ত সংস্রবের নির্দ্দেশ করা। এই গ্রন্থের সমুদয় অংশ সংসাধিত হইলে প্রমাণিত হইবে যে, বেদপ্রমাণক হিন্দু, আবেষ্টা প্রমাণক পারসীক, বাইবেল প্রমাণক য়িহুদী ও খ্রীষ্টান এবং কোরাণ প্রমাণক মুসলমান, ইহাঁরা সকলেই মূলতঃ একই ‘কেতাবী’ জাতি। ভারতবর্ষীয় কি হিন্দু কি মুসলমান সকলেই ঐ গ্রন্থ সমাপ্ত দেখিবার জন্য প্রতীক্ষা করিয়া আছে। এই রূপ নানা গ্রন্থ প্রণীত হইতেছে, সে সকলের উল্লেখ করা বাহুল্য; কিন্তু সর্ব্বাপেক্ষা সুপ্রসিদ্ধ যে মহাকাব্য সম্প্রতি প্রণীত হইয়াছে তাহার উল্লেখ করা নিতান্ত আবশ্যক। এই চতুষ্পাঠীর সর্ব্বপ্রধান সংস্কৃতাধ্যাপক মহর্ষি সঞ্জীবন ঐ মহাকাব্যের প্রণয়ন করিয়াছেন।—উহা এক্ষণে পৃথিবীর সকল সভ্য জাতীয়ের ভাষায় অনুবাদিত হইয়াছে। ইহাতে ভারত-সাম্রাজ্যের “পুনরুত্থান” ব্যাপার যথাযোগ্য