পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৬০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৫৬
স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস।

ষতঃ এখানকার খাদ্য সামগ্রী কিছুই ভাল নয়। ভারতবর্ষীয় খাদ্য ফলের মধ্যে একমাত্র নিচুই আমাদিগের স্বদেশীয় ফলের আস্বাদ ধারণ করে। তদ্ভিন্ন ভারতবর্ষীয় স্ত্রী লোকেরা নিতান্তই সৌন্দর্য্য বিহীনা। উহাদিগের বর্ণ ধবল নহে, চুল রাঙ্গা কিম্বা কটা নহে, চক্ষুও কটা নহে, ললাট ফলক উচ্চ নহে। আর যদিও ইহারা একান্ত পতিপরায়ণা তথাপি সততই লজ্জাশীলা এবং বিনয়াবনতমুখী। ইহাদিগের এখনও প্রকৃত স্বাধীন ভাব জন্মে নাই। এখানকার বিধবারা প্রায়ই বিবাহ করে না। কোথাও কোথাও দুই একজন স্বামীর অনুমৃতাও হয়।

 “পূর্ব্বে ভারতবর্ষীয়েরা স্ত্রীলোকদিগকে গৃহের বাহিরে যাইতে দিত না। এক্ষণে তাহা অল্প পরিমাণে দিতে আরম্ভ করিয়াছে, অতএব বড় বড় ঘরওয়ানা অনেক স্ত্রীলোককে আমি দেখিতে পাইয়াছি। সে দিন একজন প্রদেশাধিকারীর ভবনে একটী নাট্যাভিনয় হইয়াছিল, তাহাতে নিমন্ত্রিত হইয়া গিয়াছিলাম। ঐ প্রদেশাধিকারীর পিতা মুসলমান ছিলেন—ইনি কি হইয়াছেন জানিতে পারি নাই। মুসলমানেরা কখনই স্ত্রীলোকদিগকে ঘরের বাহিরে আনিত না। ইনি সস্ত্রীক হইয়া সভাস্থলে বসিয়াছিলেন। আরও অনেকে সপরিবার সভাস্থলে আসিয়াছিলেন। এইরূপ পরিবর্ত্তের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে একজন আমাকে বুঝাইয়া বলিলেন, ‘দেখুন স্ত্রীলোকেরা