পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী SSR আমি কঁাদ-কঁাদ হয়ে বলুলুম, “নালায় ডুবে মরি, সেও আমার ভালো, কিন্তু একলা অত দুর সদর রাস্তা ঘুরে আমি কিছুতে যাব না। | ८८-° কথাটা আমি শেষ কবৃতেই পায়ুলুম না। নরেন হেসে বললে, “তাঁর আর কি, চল, তোমাকে সেই পিটুলি গাছটার উপর দিয়ে পার ক’রে দিই।” তাই ত বটে ! আহ্নলাদে মনে মনে নেচে উঠলুম। এতক্ষণ আমার মনে পড়েনি যে খানিকটা দুরে একটা পিটুলি গাছ বহুকাল থেকে ঝড়ে উপড়ে নালার ওপর ব্রিজের মত প’ড়ে আছে। ছেলেবেলায় আমি নিজেই তার উপর দিয়ে এপার-ওপার হয়েচি । খুসী হয়ে বলুলুম, “তাই চল—” নরেন তার চেয়েও খুন্সী হয়ে বললে, “কেমন মিষ্টি শোনালে বলত!” বলুলুম, “যাও—” সে বললে, “নির্বিবঘ্নে পার না ক’রে দিয়ে কি আর যেতে পারি।” বলুলুম, “তুমি কি আমার পারের কাণ্ডারী না কি ?” আমি আজও ভেবে পাইনি, এ কথা কি ক’রেই বা মনে এল এবং কেমন ক’রেই বা মুখ দিয়ে বা’র করুলুম। কিন্তু সে যখন আমার মুখপানে চেয়ে একটু হেসে বললে, “দেখি, তাই যদি হ’তে পারি”- আমি ঘেন্নায় যেন ম'রে গেলুম ! ቆቮ সেখানে এসে দেখি, শার হওয়া সোজা নয়। একে ত স্থানটা গাছের ছায়ায় অন্ধকার, তাতে, সেই পিটুলি গাছটাই জলে ভিজে ভিজে যেমন পিছল, তেমনি উঁচু নীচু হয়ে আছে। তলা দিয়ে সমস্ত বৃষ্টির জল হুহু শব্দে বয়ে যাচ্চে—আমি একবার পা বাড়াই, একবার টেনে নিই! নিয়েন খানিকক্ষণ দেখে বললে, “আমার হাত ধ’রে যেতে পাৰ্ববো ?” বলুলুম, “পারুবা।” কিন্তু তার হাত ধ’রে এমনি কাণ্ড করলুম যে,